০৯ জানুয়ারী, ২০২৩
ছবি: কক্সবাজার জেলার ইটভাটা
কক্সবাজার জেলার অবৈধ ৫৪ ইটভাটা বন্ধের জন্য তালিকা প্রস্তুত করে ঢাকায় তাদের অধিদপ্তরে প্রেরণ করেছে কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তর।
গত ৫ ডিসেম্বর (সোমবার) চট্টগ্রাম কার্যালয় অবৈধ ইটভাটার তালিকা গ্রহন করেছে। বায়ু দুষন রোধ, নিষিদ্ধ এলাকায় ইটভাটা স্থাপন, পরিবেশগত ছাড়পত্র না থাকাসহ নানা অনিয়মের কারনে উক্ত ৫৪টি ইটভাটা বন্ধের জন্য সুপারিশ করে তালিকা প্রেরন করা হয়েছে। ইটভাটা বন্ধ হলে পরিবেশ বাঁচবে।
কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মুহাম্মদ হাফিজুর রহমান কর্তৃক ঢাকার প্রধান কার্যালয়ে গত ২০ নভেম্বর উচ্ছেদ/বন্ধের জন্য প্রেরিত অবৈধ ইটভাটার নাম ও মালিকেরা হলেন-সদরের পূর্ব খরুলিয়ার শফিউল হক চৌধুরীর মের্সাস এমএস ব্রিক ফিল্ড ও এমএসব্রিকস ম্যানুফেকচারিং, পিএমখালীর বাংলাবাজারের বজল আহমেদ কোম্পানীর বজল এন্ড ব্রাদার্স ব্রিক, চৌফলদন্ডীর হুমায়ুন সিকাদারের মের্সাস আরকেসি ব্রিক, ইসলাবাত ওয়াহেদের পাড়ায় দিদারুল ইসলামের মের্সাস দিবা ব্রিকস,খুদইবাাড়ির জসিম উদ্দিনের কক্স ইন এসোসিয়েট ব্রিকস, ভোমরিয়াঘোনার রশিদ আহমদের (বাবুল কোম্পানীর)আর এমএম ব্রিকস, ঈদগড় ধলিরছড়ার ইয়াসিন পারভেজ চৌধুরীর মের্সাস এইচবিএম ব্রিকস, চ্যেফলদন্ডীর রেজাউল করিম সিকদারের আরকেসি ব্রিকস,খরুলিয়ার আফরোজা সুলতানার মের্সাস এমএসআর ব্রিকস।
রামু মেরংলোয়ার আলহাজ্ব ছাবের আহমদের আল হেরাম ব্রিকস, ফতেখারকুলের মোঃ হাজাঙ্গির হোসেনের মেসার্স জেডএসটি ব্রিকস, খুনিয়াপালং এর মোঃ শাহ আলমের মের্সাস এমআরসি ব্রিকস,মধ্যম খুনিয়াপালং মোস্তফা আলমের মের্সাস এসএসবি-২ব্রিকস, ফতেখারকুল ফরিদুল আলম/জাফর আলমের মেসার্স জেডএন্ডএফ ব্রিকস, মোস্তাক আহমদের মের্সাস এসএসবি ব্রিকস, শাহ আলম চৌধুরীর মেসার্স সাবরিনা ব্রিকস, ধোয়া পালং কালু চেয়ারম্যানের মেসার্স ভাই ভাই ব্রিকস, উখিয়ারঘোনার মেসার্স সাসকো অটো ব্রিবস, খুরলিয়া জাসমাল হোসেনের মেসার্স বিবিএম ব্রিকস, ধলিরছড়ার ওয়াহিদুজ্জামানের মেসার্স জামান এন্ড ব্রাদার্স, ধোয়াপালং এর হাবিবুল ইসলামের মের্সাস এইচএএম ব্রিকস, দক্ষিন খুনিয়াপালং এর মোঃ শাকেরের মের্সাস রায়ানব্রিকস, উখিয়ারঘোনার জাহাঙ্গিার আলমের মেসার্স এরআমএল ব্রিকস, মেরংলোয়ার কামাল মোস্তফার মেসার্স এমকে ব্রিকস, গয়ালমারার শামসুল আলমের এমসার্স এসবিএম ব্রিকস।
চকরিয়ার উত্তর হারবাং সামসুল আলমের এলবিএম ব্রিকস, আরিফ উদ্দিনের মের্সাস আশিক ব্রিকস,ফাসিয়াখালীর গিয়াস উদ্দিন চৌধুরীর মেসার্স জিএলবি ব্রিকস,গয়ালমারার শামসুল আলম কোম্পানীর মের্সাস এবিএম ব্রিকস, উত্তরমানিকপুরের শাহাব উদ্দিনের মদিনা ব্রিকস, মানিকপুরের মাহমুদুল হকের আল মদিনা ব্রিকস-২ এবং এবিএম ব্রিকস, উত্তর মানিকপুরের শাহ আলমের ডায়মন্ড ব্রিকস, রুমখাপালং মোঃ শাহ আলমের মিডিয়া ব্রিকস ফিল্ড, পাগলির বিল হলদিয়া পালং সৈয়দ উল্লাহর জিএমএস ব্রিকস, থাইং খালীর কেআরবি ব্রিকস,হ্নীলার আলী আহমদের মের্সাস জিয়াউর রহমান ব্রিকস, দৈংগাকাটার মোঃ আবুল হাশেমের মের্সাস এ হাশেম ব্রিকস, উত্তর হ্নীলার মোঃ আবদুল্লাহর মেসার্স এ আরবি ব্রিকস ও মের্সাস সালমান ট্রেডিং ব্রিকস,মীর কাশেমের মেসার্স এমকেবি ব্রিকস, হোয়াইক্ষং মোঃ হাশেমের মেসার্স এএইচবি ব্রিকস, রুঙ্গীখালীর মোঃ শাহজাহান মিয়া চেয়ারম্যানের ফোর স্টার ব্রিকস, লতিয়া খোলার মেসার্স এমআরবি ব্রিকস, হোয়াইক্ষং কবির আহমেদ চৌধুরীর মেসার্স পিবিসি ব্রিকস, টৈটং হাজিরবাজার এলাকার আলহাজ্ব আহমেদ নবীর মেসার্স এবিএম ব্রিকস, কুতুবদিয়া কৈয়ারবিলের মোঃ শামসুল আলমের মেসার্স এসএ ব্রিক ফিল্ড।
জলবায়ু ঝুকিপূর্ণ এলাকা এখানে পরিবেশ প্রতিবেশ রক্ষা জরুরি। কিন্তু অবৈধ ইটভাটা গিলে খাচ্ছে সবুজ পাহাড়ের গাছপালা, ফসলের মাঠের মাটি। ফলে বাড়াচ্ছে চরম পরিবেশ ঝুঁকি। তিনি কক্সবাজার রক্ষায় অবৈধ ইটভাটা বন্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
অবৈধ ইটভাটা বন্ধের পদক্ষেপ বিষয়ে কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ হাফিজুর রহমান বলেন- আমরা ৫৪ টি অবৈধ ইটভাটার তালিকা ঢাকায় এবং জেলা প্রশাসক মহোদয় বরাবর প্রেরণ করেছি। ঢাকা থেকে ইতোমধ্যে ম্যাজিষ্ট্রেটগণ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করে যাচ্ছেন। আশা করি, শিগগিরই অভিযান পরিচালনা করা হবে। তিনি বলেন, ভাটার লাইসেন্স অথরিটি জেলা প্রশাসক মহোদয় তিনি চাইলে লাইসেন্স বাতিল করে ব্যবস্থা নিতে পারেন। জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশনা পাওয়া মাত্রই আমরা এসব অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।
Good news
Good