০৯ এপ্রিল, ২০২৫
ছবি: কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত
তীব্র গরমের মাঝেও ঈদের লম্বা ছুটিতে বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘ সমুদ্রসৈকত কক্সবাজার ছিল পর্যটকে টইটম্বুর। টানা ৬ দিনে আগমন ঘটে ৭ লাখ ভ্রমণপিপাসুর। যার কারণে চাঙা ছিল পর্যটনখাতের সব ধরণের ব্যবসা। চেম্বার অফ কমার্স বলছে, প্রত্যাশার চেয়েও এবার ভালো ব্যবসা হয়েছে। যা ৬'শো কোটি টাকার মতো।
ঈদের লম্বা ছুটি, তাই সৈকত শহর কক্সবাজারে ঢল নামে পর্যটকের। ঈদের পরদিন থেকে প্রতিদিনই লাখের বেশি পর্যটকে মুখরিত ছিল সাগরতীর।
ঈদের পরদিন সৈকতে আগমন ঘটে লাখো পর্যটকের। এরপর দিন পর্যটক বাড়ে আরও বেশি। এভাবে ৬ দিনে কক্সবাজারে ৭ লাখ পর্যটকের আনাগোনা ছিলো।
যারা সমুদ্রের নোনাজলের পাশাপাশি মেতেছিলেন জেড স্কী, বিচ বাইক ও ঘোড়ার পিঠে। এতে ব্যস্ততার শেষ ছিল না সৈকতপাড়ের শামুক-ঝিনুক, শুটকি, আচার, গহনা ও বার্মিজ পণ্যের দোকানিদের।
সৈকতের মো: আলম বলেন, ঈদের ছুটিতে কক্সবাজার সৈকতে প্রচুর পর্যটক। ঈদের পর থেকে প্রতিদিনই ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা আয় করেছি পর্যটকের ছবি তুলে। সৈকতে প্রায় ৬'শ ফটোগ্রাফার রয়েছে, সবারই একই অবস্থা।
জেড স্কী চালক কামাল বলেন, সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত পর্যটকদের জেড স্কীতে চড়িয়ে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় হয়। ঈদের ছুটিতে কক্সবাজারে পর্যটক আসায় ভাল ব্যবসা হচ্ছে।
বার্মিজ পণ্যের দোকানদার রহিম উদ্দিন বলেন, রমজান একমাস পর্যটক শূন্য ছিল। তাই ব্যবসা হয়নি। কিন্তু ঈদের ছুটিতে কক্সবাজারে বিপুল সংখ্যক পর্যটক আসায় প্রতিদিনই ৬০ থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত ব্যবসা হয়েছে।
কক্সবাজারে রয়েছে ৫ শতাধিক হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউস। টানা ছুটিতে হোটেলগুলো ছিল পর্যটকে ঠাঁসা। প্রত্যাশা অনুযায়ী ব্যবসা হয়েছে বলে দাবি হোটেল কর্তৃপক্ষের।
আর চেম্বার অফ কর্মাসের সভাপতি জানালেন, এবার ৬'শো কোটি টাকার মতো ব্যবসা হয়েছে।
হোটেল কক্স টুডের ব্যবস্থাপক আবু তালেব শাহ বলেন, প্রত্যাশা অনুযায়ী এবারের ছুটিতে ব্যবসা হয়েছে। কারণ নিরাপদে কক্সবাজার ঘুরতে পেরেছেন পর্যটকরা। পর্যটকের যে আগমন কক্সবাজারে হচ্ছে, তা আগামী ১৪ এপ্রিল অব্যাহত থাকবে প্রত্যাশা করছি। ব্যবসা খুবই ভালো হচ্ছে।
কক্সবাজার চেম্বার অফ কমার্সের সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী খোকা বলেন, ঈদের ছুটিতে গত ছয়দিনে প্রায় ৭ লাখ পর্যটকের আগমন হয়েছে কক্সবাজারে। তাই পর্যটনের সবখাতে প্রায় ৬'শো কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে।
Good news
Good