১৭ এপ্রিল, ২০২৫
ছবি: কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কক ছয় লেনে
কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়ককে ছয় লেনে উন্নীত করার দাবির প্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সড়ক ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে উপদেষ্টার কার্যালয়ে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’-এর কেন্দ্রীয় সংগঠক সাদিক কায়েম এক সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হয়ে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের অব্যবস্থাপনা ও ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতি তুলে ধরে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন।
স্মারকলিপিতে মহাসড়কটির সংস্কার ও ছয় লেনে উন্নীত করার যৌক্তিকতা তুলে ধরে নয় দফা দাবি উত্থাপন করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে— অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ৬ লেনে উন্নীতকরণ ও দ্রুত বাস্তবায়ন, দুর্ঘটনাপ্রবণ বাঁকসমূহে নকশাগত পরিবর্তন, পৃথক এক্সপ্রেস ও ধীরগতির যানবাহনের লেন, পর্যাপ্ত ট্র্যাফিক পুলিশ নিয়োগ, স্মার্ট ট্র্যাফিক ব্যবস্থাপনা, লবণবাহী ট্রাকের জন্য আলাদা নীতিমালা, ওভারপাস ও আন্ডারপাস নির্মাণ প্রভৃতি।
এ সময় উপদেষ্টা ড. ফাওজুল কবির খান জানান, স্মারকলিপিতে উত্থাপিত প্রস্তাবনাগুলোর আলোকে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন নিরাপদ বাংলাদেশ চাই প্ল্যাটফর্মের মুখপাত্র রায়হান উদ্দীন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসংগঠক তারেকুজ্জামান, অ্যাক্টিভিস্ট ফরহাদ শাকিব এবং হোটেল রয়েল বীচের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুল আনোয়ার।
সাদিক কায়েম বলেন, ‘কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারবিহীন ও সরু আকারে রয়ে গেছে। এর ফলে প্রতিনিয়ত প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা ঘটছে। আমরা সরকারের কাছে জোর দাবি জানিয়েছি, দ্রুত এই মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নীত করতে হবে।’
উল্লেখ্য, মহাসড়কটি ছয় লেনে উন্নীত করার দাবিতে বিভিন্ন সংগঠন ও নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে ধারাবাহিকভাবে কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। এর আগে গত ৬ এপ্রিল চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন এবং স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। পরে ১১ এপ্রিল নগরের সিআরবি রেল ভবনে ‘কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ছয় লেন বাস্তবায়ন পরিষদ’ একই দাবিতে আরেকটি স্মারকলিপি প্রদান করে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, দাবিগুলো বাস্তবায়নে দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে সামনে আরও কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
Good news
Good