৩১ ডিসেম্বর, ২০২২
ছবি: ফার্স্ট নাইট উদযাপনে সমুদ্রের ছবি
কক্সবাজার আর কিছুক্ষণ পরই ২০২৩ সালে প্রবেশ করছে বিশ্ব। থার্টি ফাস্ট নাইটকে (৩১ ডিসেম্বর ২০২২) জীবনের পাতায় স্মরণীয় করে রাখতে পর্যটন রাজধানী কক্সবাজারে ইতোমধ্যে ভিড় করছেন লাখো পর্যটক। উদ্দেশ্য বছরের শেষ রাত এবং নতুন বছরের শুরুটাকে বর্ণিল আয়োজনে উদযাপন করা।
থার্টি ফাস্ট নাইট উপলক্ষে কক্সবাজারে উন্মুক্ত পর্যায়ে কোন অনুষ্ঠান না থাকলেও বিপুল সংখ্যক পর্যটকের সমাগম আশা করছেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা। ইতিমধ্যই আগাম বুকিং হয়ে গেছে হোটেল-মোটেলের প্রায় ৭০ শতাংশ কক্ষ। এছাড়া এরই মধ্যে সমুদ্র সৈকতে ভিড় করছে লাখো পর্যটক। এদিকে আগত পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে প্রশাসন।
পর্যটন সংশ্লিষ্টদের দেওয়া তথ্যে জানা যায়, ইংরেজী বর্ষ বিদায় ও বরণকে কেন্দ্র করে আনন্দ উদযাপনে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে সমাগম ঘটে বিপুল পর্যটকের। প্রতিবছর থার্টি ফাস্ট নাইট উপলক্ষে আয়োজন হত খ্যাতনামা শিল্পীদের অংশগ্রহণে ওপেন কনসার্টসহ নানা অনুষ্ঠান। আর এসব অনুষ্ঠানে দেশি-বিদেশী পর্যটকদের পদচারণায় মুখর থাকত সমুদ্র সৈকত সহ বিনোদন কেন্দ্রগুলো।
কিন্তু গত ৫-৬ বছর ধরে কথিত নিরাপত্তার অজুহাতে উন্মুক্ত পর্যায়ে কোন ধরণের অনুষ্ঠানের আয়োজন নেই। এতে থার্টি ফাস্ট নাইট উপলক্ষে পর্যটক আগমনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। প্রতিবছর হোটেল-মোটেলে ৮০-৯০ শতাংশ আগাম বুকিং হলেও এবছর কিছুটা কম। এদিকে এরই মধ্যে থার্টি ফাস্ট নাইট উদযাপনে পর্যটকদের ভিড় বাড়ছে সমুদ্র সৈকতে। তারা প্রস্তুত নতুন বছর বরণে।
পর্যটন জেলার হোটেল-মোটেল জোনের সকল আবাসিক হোটেল অনেক আগে থেকেই বুকিং রয়েছে। এতে অন্তত আড়াই লাখ পর্যটকে ভরপূর এসব হোটেল।
বেড়াতে আসা পর্যটক রেজিয়া পারভিন মিতু জানান, এবারে থার্টি ফাস্ট নাইট উদযাপনে পরিবার নিয়ে বেড়াতে এসেছেন। এখানকার নিরাপত্তা নিয়ে তিনি সন্তুষ্ট। পুরাতন বছরের সব কষ্ট-দুঃখ সমুদ্রের পানিতে ভাসিয়ে দিয়ে নতুন বছরকে বরণ করতে চান।
সমুদ্রসৈকতে পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা বিধানে নিয়োজিত কক্সবাজার টুরিস্ট পুলিশের প্রধান (পুলিশ সুপার) মো. জিল্লুর রহমান জানান- সমুদ্রসৈকতের দীর্ঘ ১২০ কিলোমিটারজুড়ে কঠোর নিরাপত্তা বলয় থাকবে। তাই থার্টি ফাস্ট নাইটকে ঘিরে কোন ধরণের বর্ণিল আয়োজন তথা আতশবাজি, ফটকা ফোটানোসহ যে কোন ধরণের আয়োজন বন্ধই থাকবে। তবে স্বাভাবিকভাবে সৈকতের বালিয়াড়িতে ঘোরাফেরা বা দাঁড়িয়ে সমুদ্রের গর্জন উপভোগ করা যাবে।
এই বিষয়ে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মুহম্মদ শাহীন ইমরান জানান- খোলা বালিয়াড়িতে নয়, সুযোগ থাকলে হোটেল-মোটেল কর্তৃপক্ষ চাইলে তাদের অতিথিদের জন্য আয়োজন করতে পারেন নানা অনুষ্ঠানের। তা জেলা প্রশাসন বিবেচনা করবে। তবে কোন অবস্থাতেই সৈকতের বালিয়াড়িতে কোন ধরণের হৈ-হুল্লোড় করা যাবে না। এসবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
কক্সবাজারের ৫ শতাধিক হোটেল-মোটেলে পর্যটক ধারণ ক্ষমতা রয়েছে অন্তত সোয়া লাখের বেশী। সকলের প্রত্যাশা বেড়াতে আসা পর্যটকদের নিরাপদ ভ্রমণ।
Good news
Good