০৭ নভেম্বর, ২০২২
ছবি: ডা. শাহাদাত এর বক্তব্যরত অবস্থায়
প্রধান আলোচক চবি রসায়ন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক হায়াত হোসেন বলেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের কারণে ৩ নভেম্বর শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে গৃহবন্দি করা হয়েছিল। সেই চক্রান্তকে ব্যর্থ করে দিয়ে এদেশের দেশপ্রেমিক সিপাহী এবং জনগণ ৭ নভেম্বর তাকে মুক্ত করে দেশে সত্যিকার অর্থে স্বাধীনতাকে সুসংহত করেছিলেন। একই সঙ্গে গণতন্ত্রের যে পথ সেই পথের নতুন সূচনা করা হয়।
চট্টগ্রাম নগরীর সিআরবিতে হাসপাতাল নির্মাণ নিয়ে আওয়ামী লীগের পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থানের সমালোচনা করে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, আওয়ামী লীগ এখন একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।
আওয়ামী লীগ নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নাকি ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের জনসভা থেকে সিআরবিতে হাসপাতাল না হওয়ার ঘোষণা দেবেন। আমরা সবই বুঝি আপনারা নিজেরাই বললেন সিআরবিতে হাসপাতাল হবে, আবার নিজেরাই বলছেন হবে না। হায়রে আওয়ামী লীগের রাজনীতি! আসলে আওয়ামী লীগ এখন কোনো রাজনৈতিক দলই নয়। আওয়ামী লীগ এখন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ যেটা বলে সেটাই বিচার বিভাগ পালন করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কয়েকদিন আগে বলেছেন, বেশি বাড়াবাড়ি করলে খালেদা জিয়াকে জেলে ঢোকানো হবে। আবার গতকাল শনিবার আইনমন্ত্রী বললেন, নির্বাচনের আগে জেলে যেতে হবে না। তাহলে কী দাঁড়ালো? আওয়ামী লীগ যা বলে বিচার বিভাগ সেটাই করে। দেশে বিচার বিভাগের এখন স্বাধীনতা নেই।
তিনি বলেন, ৭ নভেম্বর সৃষ্টি না হলে দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হতো না। প্রকৃতপক্ষে ৭ নভেম্বর থেকেই এদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র এবং জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠা করার সেই সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল। যার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান।
চবি শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি ড. সিদ্দিক আহমেদ চৌধুরী বলেন, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জন করলেও স্বাধীনতার প্রকৃত স্বাদ পেতে গোটা জাতিকে ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে। যুদ্ধোত্তর দেশে তৎকালীন শাসকগোষ্ঠী রাষ্ট্র পরিচালনায় সীমাহীন অযোগ্যতা, অদূরদর্শিতা ও পদলেহী পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করায় রক্তে অর্জিত স্বাধীনতাই বিপন্ন হতে বসেছিল। সেই ক্রান্তিকালে দেশের হাল ধরেছিলেন জিয়াউর রহমান।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষের ভোটাধিকার, গণতন্ত্র ও জনগণের নিরাপত্তা কিছুই নেই। দেশ ও জাতি আজ চরম ক্রান্তিকাল অতিবাহিত করছে। জাতীয় নিরাপত্তা, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব আজ চরম হুমকির মুখে। তাই ৭ নভেম্বরের চেতনাকে ধারণ করে গণজাগরণ সৃষ্টির মাধ্যমে বর্তমান অগণতান্ত্রিক সরকারের পদত্যাগের দাবিতে সবাইকে রাজপথে নেমে আসতে হবে।
আলোচনায় আরও বক্তব্য রাখেন, সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট এ এস এম বদরুল আনোয়ার, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, চবি শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক এস এম নসরুল কদির, আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাড. এনামুল হক, সাবেক পিপি অ্যাড, আবদুস সাত্তার, অ্যাড, মুফিজুল হক ভূইয়া, ড্যাবের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. এস এম সারোয়ার আলম।
এতে আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, এস এম সাইফুল আলম, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, আবদুল মান্নান, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জয়নাল আবেদীন জিয়া, হারুন জামান, হাজী মো. আলী, এস এম আবুল ফয়েজ, আশরাফ চৌধুরী, নাজিম উদ্দীন আহমেদ, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, আবুল হাশেম, মন্জুর আলম মন্জু, আনোয়ার হোসেন লিপু ও মো. কামরুল ইসলাম প্রমুখ।