১৩ ডিসেম্বর, ২০২২
ছবি: জাগ্রত কবি মুহিব খান
ইঞ্চি ইঞ্চি মাটি সোনার চেয়েও খাটি নগদ রক্ত দিয়ে কেনা, এদেশে আল্লাহু আকবারের সুরে সূর্য ওঠে, আমার বাংলাদেশ ভারতের তাবেদার ভেবে থাক যদি তবে ভূল হবে কিংবা উত্তর থেকে দক্ষিন মেরু সীমান্ত খুলে দাও সঙ্গীতগুলো ব্যপক সারা জাগিয়েছে এদেশের ইসলামপ্রিয় মানুষের মাঝে। গানগুলোর গীতিকাব্য যেমন অত্যন্ত সাবলীল তেমনি সুরের মূর্ছনায় শরীরে জেগে ওঠে শিহরণ। সেই সঙ্গীতের মূর্ছনা সরাসরি উপভোগ করতে কুড়িগ্রামে অনুষ্ঠিত হল পবিত্র কুরআনের পূর্ণাঙ্গ কাব্যানুবাদক জনপ্রিয় ইসলামী সঙ্গীত শিল্পী মুহিব খানের কনসার্ট । যিনি জাগ্রত কবি হিসেবেই পরিচিত। তাই উক্ত ইসলামিক কনসার্টে উৎফুল্ল জনতার উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত। গতকাল সন্ধ্যায় আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া নূরুল উলুম মাদরাসার উদ্যোগে কুড়িগ্রামের যাত্রাপুরে উক্ত ইসলামিক কনসার্ট অনুষ্ঠিত হয়। সঙ্গীত শুনতে আসা কুড়িগ্রাম সরকারী কলেজের ডিগ্রীর ২য় বর্ষের ছাত্র ফারুক হোসেন জানান আমি এই ইসলামী সঙ্গীত অনুষ্ঠানে এসে মুগ্ধ হয়েছি। হৃদয়ে শিহরন জাগানো এরকম সঙ্গীত সরাসরি কখনই শোনা হয়নি আগে। আর এক শ্রোতা ফজলুল করীম জামিয়া ইসলামীয়ার শিক্ষক মুফতী আ: রহিম জানান মুহিব খানের কনসার্ট মানেই আলাদা কিছু। খুবই ভাল লেগেছে। ভূরুঙ্গামারী থানা থেকে এসেছেন মাও: আ: মান্নান তিনি বলেন জাগ্রত কবিকে কখনো দেখিনি তাই তার কনসার্টে এসেছি। সত্যিই অসাধারণ তার সঙ্গীত। ইসলামী সঙ্গীত হলেও তার কথা, সুর ও কন্ঠের বলিষ্ঠতায় সত্যিই আমি মুগ্ধ। সবথেকে বড় কথা হল যিনি পূর্ণাঙ্গ কুরআনের কাব্যানুবাদ করেছেন তাকে দেখার ইচ্ছাটাও ছিল প্রবল।
গতানুগতিক ধারার উচ্চস্বরে গানবাজনার বাজারে ইসলামী সঙ্গীতের এরকম অনুষ্ঠানে জনতার উপচে পড়া ভীড় ছিল এদেশের মানুষের ইসলামের প্রতি ভালবাসার নিদর্শন। আগত শ্রোতাদের অনেকেই জানান এরকম ইসলামিক কনসার্টগুলো বেশি বেশি হওয়া উচিত। মুহিব খানের দেশাশ্মবোধক গান শুনে খুবই ভাল লাগছে। কনসার্ট শেষে তাফসীরুল কুরআন মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান বক্তা হিসেবে তাফসীর পেশ করেন মুফতী ওয়ালিউদ্দীন রাশাদী। আল্লামা জহুরুল হক এর সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আ: গফুর, পাচগাছী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আ: বাতেন সরকারসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ।