১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
ছবি: সানজিদা আফরিন নিপা
শাহবাগ থানায় নিয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে নির্যাতনের ঘটনায় আলোচনায় এসেছেন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) সানজিদা আফরিন নিপা। তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ক্রাইম বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) হিসেবে কর্মরত ও ৩১তম বিসিএস কর্মকর্তা। তিনি রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) আজিজুল হকের স্ত্রী।
চিকিৎসা নিতে গিয়ে বাঁধে বিপত্তি, পুলিশের সাময়িক বরখাস্ত অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশীদের সঙ্গে ডিএমপির অপরাধ বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) সানজিদা আফরিন নিপাকে জড়িয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে মুখরোচক আলোচনা, দেশবাসীর দৃষ্টি এখন এই ঘটনার দিকেই।
তবে সানজিদার পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, তাঁদের(এডিসি হারুন ও এডিসি সানজিদা) মধ্যে পেশাগত সম্পর্ক ছাড়া অন্য কোনো সম্পর্ক নেই, সামাজিকভাবে হেয় করতেই তাদের জড়িয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন গুজব ছড়ানো হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সানজিদার বড় বোন হোসনে আরা কামনা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এই অপপ্রচারে তাঁরা বিব্রতবোধ করছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সানজিদার পারিবারিক সূত্র জানায়, টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার নগদা শিমলা ইউনিয়নের দক্ষিণ বিলডগা গ্রামের সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান সানজিদা আফরিন নিপা। তাঁর বাবা এম. হোসেন আলী বার্ধক্যজনিত কারণে গত বছর মারা যান। প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পরবর্তী সময়ে উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার পাশাপাশি, উপজেলার নগদা শিমলা ইউনিয়ন পরিষদের (আমৃত্যু) সাতবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক এম. হোসেন আলী দীর্ঘদিন গোপালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেছেন, এছাড়াও তিনি টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ছিলেন।
মরহুম হোসেন আলীর চার মেয়ের মধ্যে সানজিদা আফরিন নিপা তৃতীয়। বড় মেয়ে হোসনে আরা কামনা সূতী ভিএম সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক। দ্বিতীয় মেয়ে তানজিনা আফরিন স্মৃতি একজন চিকিৎসক। ছোট মেয়ে সাদিয়া আফরিন বন্যা বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক। তাঁদের পরিবারের খ্যাতি গোপালপুরে ছড়িয়ে আছে।
সানজিদার পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ২০১৭ সালের ১০ মার্চ গাজীপুরের কাপাসিয়ার বাসিন্দা আজিজুল হক মামুনের সঙ্গে সানজিদা আফরিন নিপার বিয়ে হয়। পারিবারিকভাবে এই বিয়ের ব্যবস্থা করা হয়। তবে এই বিয়েতে সানজিদার তেমন সম্মতি ছিল না। এ কারণে বিয়ের পর থেকেই স্বামীর সঙ্গে তাঁর বনিবনা হচ্ছিল না।
সানজিদা দীর্ঘদিন তাঁর স্বামীর বাড়ি গাজীপুরে এএসপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। চলতি বছরের শুরুর দিকে সানজিদা ঢাকায় বদলি হন। সাম্প্রতিক ঘটনায় এডিসি হারুনের সঙ্গে পরকীয়ার গুঞ্জন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভেসে বেড়াচ্ছে। বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন সানজিদার বোন হোসনে আরা কামনা।
তিনি বলেন, সানজিদার বিয়ে হয়েছে আজিজুল হক মামুনের সঙ্গে। রাষ্ট্রপতির এপিএস হিসেবে দায়িত্বরত মামুনই সানজিদার স্বামী। এডিসি হারুন তাঁর কলিগ মাত্র। ২০১৭ সালের ১০ মার্চ আজিজুল হক মামুনের সঙ্গে সানজিদার বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোপালপুরের নগদা শিমলা ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার শামছুল হক।
Good news
Good