৩০ এপ্রিল ২০২৫
হোম স্বাস্থ্য সারাদেশ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি ও বাণিজ্য খেলাধুলা বিনোদন আন্তর্জাতিক ধর্ম ও জীবন লাইফ স্টাইল শিক্ষা প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান পরিবেশ চাকরি বা ক্যারিয়ার মতামত আইন-আদালত কৃষি ও প্রযুক্তি বিশেষ সংবাদ অপরাধ সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিশ্বকাপ ফুটবল
অপরাধ

গোপালপুরে সরকারী নির্দেশ অমান্য করে পরীক্ষার ফি আদায়

২০ ডিসেম্বর, ২০২২

মোঃ রুবেল আহমেদ,
স্টাফ রিপোর্টার

ছবি: তারুণ্য ২৪


প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশ উপেক্ষা করে টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় প্রান্তিকের মূল্যায়ন পরীক্ষার শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে ফি আদায় করার গুরুতর অভিযোগ মিলেছে। শিক্ষা অফিস ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান অভিযোগের প্রক্ষিতে এক প্রধান শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

জানা যায়, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর গত ২৭ নভেম্বর এক নির্দেশক্রমে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ২০২২ শিক্ষাবর্ষের তৃতীয় প্রান্তিক পরীক্ষায় (সমাপনী) শিক্ষার্থী অথবা তাঁর অভিভাবকের নিকট থেকে কোনভাবেই ফি আদায় করা যাবেনা মর্মে সাবধান করে দেওয়া হয়। কিন্তু এক শ্রেণির শিক্ষক পরীক্ষার্থীদের নিকট থেকে শ্রেণিভেদে ৩০ থেকে ৫০ টাকা হারে বাধ্যতামূলকভাবে ফি আদায় করেছে। গত ৮ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া তৃতীয় প্রান্তিকের এ পরীক্ষায় উপজেলার প্রায় ১৫ হাজার পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে।

উপজেলার সূতি ক্লাস্টারে দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারি শিক্ষা অফিসার শফিকুল ইসলাম জানান, সূতি মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজিজুন নাহার স্কুলের তিনশতাধিক শিক্ষার্থীর নিকট থেকে বাধ্যতামূলকভাবে ফি আদায় করেছেন বলে অভিযোগ উঠে। দুদিন আগে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের সাথে ওই স্কুল পরিদর্শনকালে অভিযোগের সত্যতা মিলে।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মফিজুর রহমান অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে জানান, ওই বিদ্যালয়ের পরীক্ষাসংক্রান্ত খরচ চালানোর জন্য স্লিপখাতে ৭০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সে টাকা নিজের হাতে রেখে ওই প্রধান শিক্ষক পরীক্ষার্থীদের নিকট থেকে বাধ্যতামূলক ফি আদায় করেছেন বলে জানা গেছে। এজন্য গত সোমবার তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

ওই স্কুলের অভিভাবক সদস্য সোহেল হোসেন জানান, এ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন এলাকার দরিদ্র ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠির শিশুরা। তাদের নিকট থেকে বাধ্যতামূলক ফি আদায় করায় অনেক শিশু পরীক্ষায় অংশগ্রহণ অনিশ্চিত হয়ে পরে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. পারভজ মল্লিক জানান, আজ  ২০ ডিসেম্বর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের এক সভায় ফি আদায়ের ওই বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে আলোচনা করা হয়। ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক।

প্রধান শিক্ষক আজিজুন নাহার জানান, তৃতীয় প্রান্তিক নয়, সাপ্তাহিক পরীক্ষার জন্য শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে এসব ফি তোলা হয়। শিক্ষা অফিসের আপত্তি থাকলে ওই টাকা ফেরত দেওয়া হবে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত হবে। অভিযোগের সত্যতা মিললে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার সুপারিশ করা হবে।

Related Article