১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
ছবি: আটককৃত আসামি ও অটোরিকশা
গোপন অঙ্গ ও গলা কেটে অটো চালক আজাদকে হত্যার প্রধান আসামী নাহিদকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১ এর সদস্যরা। নাহিদ (২২) টাঙ্গাইলের নাগরপুর থানার আতাউর রহমানের ছেলে। হত্যাকাণ্ডের শিকার আজাদ (১৬) গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কোচাশহর ইউপির বনগ্রামের আব্দুল হালিম শেখের ছেলে। গত রবিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) গাজীপুরের কালিয়াকৈরে গোসাত্রা পশ্চিম চকের আফজাল দেওয়ানের একটি সবজির মাঠ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় থানা পুলিশ। সে কালিয়াকৈর উপজেলার হরিণহাটি এলাকার মুন্সিরটেক গ্রামের মনির হোসেনের বাড়িতে ভাড়া থেকে নিজস্ব একটি অটো চালাত।
মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ছিনতাই করা অটোরিকশাসহ র্যাব-১ এর সদস্যরা কালিয়াকৈর থানাধীন হরিণহাটি এলাকায় অভিযান চালিয়ে নাহিদকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
র্যাব সূত্র জানায়, নাহিদের কাছ থেকে নিহত আজাদ শেখের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি উদ্ধার এবং তার দেওয়া তথ্যমতে কালিয়াকৈরের হরিণহাটি (এপেক্স রোড) এলাকা থেকে ফেদু মাতাব্বর কলোনি অ্যান্ড টাওয়ারের নিচ তলার গ্যারেজে অভিযান পরিচালনা করে ছিনতাই করা অটোরিকশাটি উদ্ধার করা হয়। পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি হত্যার কথা স্বীকার করে হত্যার বর্ণনা দেন।
বর্ণনা সূত্রে- নাহিদ আনুমানিক ২ বছর আগে গাজীপুরের কালিয়াকৈর হরিণহাটি এলাকায় আসেন এবং ভ্যান গাড়িতে করে কাঁচা তরকারির ব্যবসা শুরু করে। একই এলাকায় নিহত আজাদ শেখের সাথে তার পরিচয় হয় এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরবর্তীতে কাঁচা তরকারির ব্যবসা বাদ দিয়ে আসামি নাহিদও একটি অটোরিকশা ক্রয় করে।
নাহিদের অটোরিক্সার ব্যাটারি নষ্ট হলে সে একটি সমিতি থেকে ৫০ হাজার টাকা ঋন করে। ব্যাটারি কেনার জন্য ৩ জানুয়ারি আজাদের গাড়ি নিয়ে দু'জনে যাত্রাপথে সফিপুর এলাকায় দু'জন ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে নাহিদের ৫০ হাজার টাকা ছিনতাই হয়। এজন্য মনে মনে আজাদকে সন্দেহ করে প্রতিশোধ নিতে তাকে হত্যা পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে।
পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ৪ ফেব্রুয়ারি নাহিদ হোসেন ভিকটিমকে ফোন দিয়ে কাঁচা তরকারি পরিবহনের জন্য ডাকে এবং সফিপুর বাজারের ফুটপাত থেকে ৩০ টাকা দিয়ে একটি চাকু ক্রয় করে পকেটে লুকিয়ে রাখে। কাঁচা তরকারি আনার জন্য রওনা হয়ে কালিয়াকৈর থানাধীন গোসাত্রা পাড় হয়ে চান্দাবহ কবর স্থানের মোড়ে আসলে অটোটি থামাতে বললে আজাদ অটোটি থামায়। অটো রেখে পায়ে হেঁটে আজাদকে কাঁচা তরকারি আনার কথা বলে কৌশলে মাঠের (চকের) মধ্যে অন্ধকারে নিয়ে যায়। সুযোগবুঝে নাহিদ আজাদের গলা টিপে ধরে মাটিতে ফেলে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য তার সঙ্গে নিয়ে আনা চাকু দিয়ে জবাই করে। তারপরেও আসামির সন্দেহ হওয়ায় মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য আজাদের গোপনাঙ্গ কেটে দেহ থেকে বিছিন্ন অবস্থায় ফেলে অটোটি নিয়ে পালিয়ে আসে।
Good news
Good