৩০ অক্টোবর, ২০২২
ছবি: পলাশবাড়ী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে তোলা
গাইবান্ধায় ইতিমধ্যে কুয়াশা এবং শীতের আমেজ বিরাজ করছে এর ফলে শীত নিবারণের জন্য লেপ তোশক তৈরিতে ব্যস্ততা বেড়েছে এ শিল্পে। শীতের শুরুতে রাতে ও সকালে শীত অনুভূত হওয়ার কারণে লেপ তোশক,বালিশ, কোলবালিশ,জাজিম তৈরি করতে কারিগরের নিকট জমছে জনসাধারণ এবং নড়েচরে বসছেন কারিগরগণ। এর পাশাপাশি গৃহিণীদের যত্নে রাখা লেপ-তোশক বের করছে শুরু করছে।
জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে কারিগররা ধনুক দিয়ে তুলা ফেটিয়ে নিয়ে তৈরি করছেন লেপ-তোষক। কারিগরদের টুংটাং আওয়াজ আর বাতাসে উড়ে বেড়ানো তুলা জানিয়ে দিচ্ছে শীত এসে গেছে।
এছাড়াও জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ হাটবাজারে কারিগররা লেপ তোশক বালিশ বিক্রি ও তৈরিতে কাটছে ব্যস্ত সময়। পলাশবাড়ী উপজেলার কারিগর রাজু মিয়া (৫২) “তারুন্য-২৪'' কে জানান, সপ্তাহ আগেও তেমন কাজকর্ম ছিল না রাত-দিন সমান তালেই কাজ করতে হচ্ছে। বতর্মানে পুরনো লেপ ভেঙে নতুনভাবে তৈরির অডার্রই বেশি পাওয়া যাচ্ছে। সেই সঙ্গে গামের্ন্টসের তুলা দিয়ে তৈরি লেপও বিক্রি হচ্ছে। লেপ-তোশক তৈরির কারিগরেরা ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন পুরোদমেই। প্রতিদিন গরে ৩ থেকে ৪টি অর্ডার পাচ্ছি। জাদিম দুটি বালিশসহ দাম পরছে ২ হাজার ৫ শ টাকা। লেপ গার্মেন্টস তুলা দিয়ে তৈরি বালিশসহ ১২শ টাকা। বাঙ্গার তুলায় লেপ বালিশ ছাড়া ২ হাজার টাকা। প্রতিটি বালিশের মূল্য ১৬০ টাকা। কোলবালিশ এর দাম ২শ ২০ টাকা। তুলা প্রতি কেজি গার্মেন্টস সাদা ১৭০ টাকা এবং কালার ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এ উপজেলায় মোট ২০/২৫ জন এ পেশার সাথে জরিত বলে জানান,রাজু মিয়া। চাহিদা মাত্র প্রয়োজনীয় মাল সরবরাহ করে মহাজনরা। জাদিম তৈরি হয় ব্লেজার তুলা দিয়ে। আমার কাছে প্রতিটি লেপ পাঁচ কেজি তুলা দিয়ে বানিয়ে বিক্রি করছি। এর পাশাপাশি অগ্রিম কিছু লেপ-তোশক বানিয়ে রেখেছি। সাধারণত অনেক ক্রেতা রেডিমেট ভাবে এসব ক্রয় করে থাকেন। তাহারা আসেন দাম দর করে কিনে নিয়ে চলে যায়। কারিগরেরা জানান এবার তুলার দাম একটু বেশি হবার কারণে বড় লেপের দাম একটু বেড়েছে।
Good news
Good