০৬ মার্চ, ২০২৪
ছবি: আমের গাছে ডালে মুকুল
''আয় ছেলেরা, আয় মেয়েরা, ফুল তুলিতে যাই, ফুলের মালা গলায় দিয়ে, মামার বাড়ি যাই। ঝড়ের দিনে মামার দেশে, আম কুড়াতে সুখ, পাকা আমের মধুর রসে, রঙিন করে মুখ'' পল্লী কবি জসীম উদ্দিনের ‘মামার বাড়ি’ কবিতা ছোট বেলায় কেউ পড়ে নাই এমন কেউ আছে বলে আমার জানা নেই।
ছয় ঋতুর এই বাংলাদেশে পাতাঝড়া ষড়ঋতুর রাজা বসন্ত। আবহমান বাংলার সৌন্দর্যের রাজা বলে পরিচিত গ্রীষ্মকাল। ফাগুনের ছোঁয়ায় পলাশ-শিমুলের বনে লেগেছে রাঙা ফুলের মেলা।
শীতের জড়তা কাটিয়ে কোকিলের সেই সুমধুর কুহুতানে মাতাল করতে আবারও ফিরে এলো বাংলার বুকে ঋতুরাজ বসন্ত। রঙিন-বন ফুলের সমারোহে প্রকৃতি যেমন সেজেছে বর্ণিল সাজে, তেমনি নতুন সাজে সেজেছে ফুলবাড়ীর আম/কাঁঠাল সহ অনেক ধরনের ফলের গাছগুলো।
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতেও সারাদেশের মতো যে দিকে তাকান গাছে গাছে এখন শুধু দৃশ্যমান সোনালি মুকুলের আভা। মুকুলের ভারে ভেঙে পরার মতো প্রতিটি গাছের ডালপালা। গাছগুলো শোভা ছড়াচ্ছে নিজস্ব মহিমায়।
সোনালি হলুদ রঙের আমের মুকুলের মনকাড়া ঘ্রাণ। মৌমাছির দল ঘুরে বেড়াচ্ছে গুনগুন শব্দে। ছোট পাখিরাও মুকুলে বসেছে মনের আনন্দে। এমন দৃশ্যের দেখা মিলেছে গাছে গাছে। আমের সোনালি মুকুলে ঢেকে গেছে গাছের ডালপালা। বাতাসে মুকুলের ঘ্রাণ মিলেমিশে একাকার।
পাকা আমের এই বাস্তব রূপ পেতে বাকি রয়েছে আর মাত্র কয়েক মাস। আমের মুকুল, মুকুলের উপর সকালের রোদ আমাদের মনে করিয়ে দেয় বসন্ত উঁকি দিলো জানালায়। এই রংবেরঙের আনন্দ আমাদের সকলেরই জানা।
এই মুকুলের ঘ্রাণই আমাদের কোকিল ডাকা, ঋতুরাজ বসন্তের প্রতীক্ষায় রাখে। কিন্তু গাছপালা আশংকাজনক হারে কমে যাওয়ায় জলবায়ু এবং জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হওয়ার পথে এগোচ্ছে। তাই আমাদের দেশও ষড়ঋতুর পরিবর্তে দুই ঋতুতে পরিণত হচ্ছে। যা অত্যন্ত দুঃখজনক। পরিবেশের ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে এবং জীববৈচিত্র্য রক্ষা করতে এখনই সচেতন হতে হবে সবাইকে।
উপজেলা কৃষি অফিসার জানান, গত বছরের চেয়ে এ বছর আমের মুকুল অনেক বেশি দেখা যাচ্ছে। আমের মুকুল না ঝরার জন্য ছত্রানাশক ওষুক প্রয়োগ করার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে যাতে আমের মুকুল ঝরে না যায়।
তিনি আরও বলেন কোনো ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে আম চাষিরা লাভের মুখ দেখবেন।
Good news
Good