০৭ মার্চ, ২০২৩
ছবি: উল্লেখিত পুকুর খননের দৃশ্য।
রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বিভিন্ন বিলে ফসলি জমিতে অবাধে পুকুর খননের অভিযোগ উঠেছে। আর খনন করা পুকুরের মাটি বিক্রি হচ্ছে অনুমোদনহীন ইটভাটায়।
এলাকাবাসীরা বলছেন, পুকুর খননের সরকারি অনুমোদন নেই। তারপরেও পুকুর খননকারীরা রাতে লাইট জ্বালিয়ে খননকাজ চালাচ্ছে। আর খনন করা পুকুরের মাটি বিক্রি হচ্ছে এলাকার অনুমোদনহীন ইটভাটায়। এতে মাটি বহনকারী ট্রাক্টরের কারণে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে গ্রামীণ সড়ক।
এলাকার জনপ্রতিনিধিদের তথ্যমতে, চলতি মাসের শুরু থেকে উপজেলার শিলমাড়িয়া, ভালুকগাছি ও বেলপুকুরিয়া ইউনিয়নের ১৩টি স্থানে তিন ফসলি ক্ষেতে এস্কেভেটর (ভেকু) দিয়ে খনন হচ্ছে পুকুর। আর একেকটি পুকুর খনন হচ্ছে প্রায় ৩০ থেকে ৫০ বিঘা জমি নিয়ে।
জিউপাড়া এলাকার চাষি সাইদুর রহমান বলেন, গাইনপাড়া গ্রামে একই স্থানে ছয়টি পুকুর খনন হচ্ছে। আর খনন করা মাটি ১২ থেকে ১৪টি ইটভাটার মালিকের ট্রাক্টর বহন করছে। মাত্রাতিরিক্ত মাটি বহনের কারণে গ্রামীণ সড়কগুলো জরাজীর্ণ হচ্ছে। আমরা বিষয়টি পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়েছি। তবে কোনো প্রতিকার হচ্ছে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, জমির মালিকেরা উপজেলার প্রভাবশালী এক ব্যক্তির সঙ্গে প্রতি বিঘা জমিতে পুকুর খনন করার জন্য ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা চুক্তি করেছেন। আর তিনি বিশেষ সুবিধায় পুলিশ প্রশাসনকে ম্যানেজ করেন। এরপর রাতের আঁধারে লাইট জ্বালিয়ে ফসলি জমিতে চলে পুকুর খননকাজ।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুসনা ইয়াসমিন “তারুণ্য ২৪”কে বলেন, একশ্রেণির লোকজন প্রতিদিন এই এলাকায় একের পর একর ফসলি জমিতে পুকুর খনন করছে। পুকুর খনন রোধের বিষয়টি আমরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানিয়েছি।