২২ নভেম্বর, ২০২২
ছবি: প্রতীকী ছবি।
ফেনীতে পুলিশ ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় ১৪ নেতার নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১৫৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। আজ সোমবার ফেনী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ মোহসিন বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
এর আগে ঘটনাস্থল থেকে আটক করা পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব ইব্রাহীম হোসেন ইভু, পাঁচগাছিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন, ছাত্রদল কর্মী আবদুল্লাহ আল নোমান, আবির ইসলাম ও মো. আলাউদ্দিনকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলার বাকি আসামিরা হলেন-সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুর রহমান বকুল, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক বর্তমানে বহিষ্কৃত নেতা মনোয়ার হোসেন দুলাল ওরফে লোট্টা দুলাল, জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাসেল পাটোয়ারী, জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ আলম মিলন, সদর থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন, সদর থানা যুবদলের সদস্য সচিব শাহদাৎ হোসেন, জেলা যুবদলের দপ্তর সম্পাদক ইমরান পাটোয়ারী ও জেলা ছাত্রদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক পারভেজ।
পুলিশ জানান, গতকাল রোববার শহরের ইসলাম রোডে ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ মাইকিং করে দুর্বৃত্তকারীদের সতর্ক করলে তাঁরা আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। একপর্যায়ে পুলিশ তাঁদের বাধা দিলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘঠে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠি চার্জসহ ২৮ রাউন্ড শটগানের গুলি ছোড়ে। পরে ঘটনাস্থল থেকে ইব্রাহীম হোসেন ইভু, মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন, আবদুল্লাহ আল নোমান, আবির ইসলাম ও মো. আলাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ফেনী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ মোহসিন বাদী হয়ে ১৪ নেতা-কর্মীর নামোল্লেখসহ অজ্ঞাত ১৫৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। দায়েরকৃত মামলায় গ্রেপ্তারকৃত পাঁচজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক নিজাম উদ্দিন বলেন, পুলিশের কাজে বাধা দেওয়াসহ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে বাকি জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
Good news
Good