০৪ ডিসেম্বর, ২০২২
ছবি: অভিযুক্ত এসআই মো. আলাউদ্দিন
যৌন হয়রানির অভিযোগ দিতে যাওয়া এক স্কুল শিক্ষিকার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেন ফেনী জেলা পুলিশের ডিএসবি শাখার এসআই মো. আলাউদ্দিন। প্রথম বিয়ের কথা গোপন করে শিক্ষিকাকে বিয়ে করেন ফেনী জেলা পুলিশের ডিএসবি শাখার এসআই মো. আলাউদ্দিন।
কিন্তু বিয়ের পর স্ত্রীর মর্যাদা না দেওয়া এবং অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর গর্ভপাত করার ঘটনার পর উক্ত শিক্ষিকা কে
তালাক দেন এসআই আলাউদ্দিন। বিচ্ছেদের পর দীর্ঘদিন আলাদা থাকার পর উক্ত শিক্ষাকে কয়েক দফা ধর্ষণ করেন আলাউদ্দিন।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত এসআইয়ের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষিকা।
গতকাল শনিবার (৩ নভেম্বর) সকালে ফেনী মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন একটি বেসরকারি স্কুলের ভুক্তভোগী শিক্ষিকা। ঘটনায় এখনো গ্রেপ্তার হননি অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা। মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০২০ সালে একটি যৌন হয়রানির ঘটনায় ফেনী মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী শিক্ষিকা। এ ঘটনায় তৎকালীন সময়ে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়ার হয় ফেনী মডেল থানার এসআই আলাউদ্দিনকে। এরপর শিক্ষিকার সঙ্গে এসআইয়ের নিয়মিত যোগাযোগ রাখার সুবাদে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠে। এরপর এসআই আলাউদ্দিন প্রথম বিয়ের কথা গোপন রেখে ২০২০ সালের ২২ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের একটি কাজী অফিসে ওই শিক্ষিকাকে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ে করলেও স্ত্রী মর্যাদা দিতেন না এসআই। স্ত্রীর মর্যাদা এবং সামাজিক স্বীকৃতির কথা বললে বিভিন্ন টালবাহানা দেখাতেন।