৩০ এপ্রিল ২০২৫
হোম স্বাস্থ্য সারাদেশ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি ও বাণিজ্য খেলাধুলা বিনোদন আন্তর্জাতিক ধর্ম ও জীবন লাইফ স্টাইল শিক্ষা প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান পরিবেশ চাকরি বা ক্যারিয়ার মতামত আইন-আদালত কৃষি ও প্রযুক্তি বিশেষ সংবাদ অপরাধ সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিশ্বকাপ ফুটবল
সারাদেশ

ফেনীর সোনাগাজীতে উপ-সহকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ

২১ নভেম্বর, ২০২২

কামরুল আরেফিন,
ফেনী জেলা (ফেনী) প্রতিনিধি

ছবি: অভিযুক্ত উপ-সহকারী (ভূমি) কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহ আলম।

সোনাগাজীতে মোহাম্মদ শাহ আলম নামে এক উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এক প্রবাসীর পরিবারকে ভয় দেখিয়ে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।  ঘুষের টাকা ফেরত চেয়ে ও শাস্তি দাবি করে ক্ষতিগ্রস্ত তাছলিমা আক্তার নামে এক নারী গতকাল রবিবার সকালে ফেনী জেলা  প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটসহ সরকারি বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্ত মোহাম্মদ শাহ আলম উপজেলার আমির উদ্দিন মুন্সিরহাট ভূমি অফিসের ( আদায় শিবির) উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন। অভিযোগে জানা গেছে,উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের চরসোনাপুর গ্রামের মৃত মাহাবুবুল হকের কন্যা তাছলিমা আক্তার তার মাসহ পিতার বাড়িতে বসবাস করছেন। তার দুই ভাই প্রবাসী। এক ভাই স্কলারশীপ নিয়ে লন্ডনে পড়ালেখা করছেন। তার মা রোকেয়া বেগম চরসোনাপুর মৌজার নং ২৯২ সি এস এ ৮৯১ নং খতিয়ানে ২১৯১ দাগে তিন শতক ভূমি খরিদ সূত্রে মালিক আছেন। উক্ত ভূমিতে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করতে গেলে তার চাচাতো ভাই শাহাজাহান সিরাজি ফেনীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ( এডিএম কোর্টে) ১৪৫ ধারা মোতাবেক একটি মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং ৫৪২। 

আদালত শান্তি -শৃঙ্খলা রক্ষায় সোনাগাজী মডেল থানার ওসিকে এবং বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সোনাগাজীর সহকারি কমিশনারকে (ভূমি) আদেশ দেন। নোটিশ পেয়ে তারা বিষয়টি অবগত হন। বিগত ৩০ বছরের অধিক সময় ধরে শান্তিপূর্ণভাবে তারা জায়গাটি ভোগ দখলে রয়েছেন আমিরাবাদ ইউনিয়নের উপ-সহকারি ভূমি কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহ আলম বিষয়টি তদন্ত করেন।
তদন্ত শেষে তাছলিমা, তার মা ও ভাবীকে ডেকে বলেন, আমি তদন্ত করে এবং কাগজপত্র পর্যালোচনা করে অবগত হয়েছি ওই জমির মালিক ও দখলদার আপনারা কিন্তু হয়রানির উদ্দেশ্য প্রতিপক্ষ মামলাটি আনায়ন করেছেন। এটি বাদীর বৃদ্ধ পিতাও আমার কাছে স্বীকার করেছেন। আমি আদালতে সত্য রির্পোট লিখে দিলে প্রথম তারিখেই মামলাটি নথিভুক্ত হয়ে যাবে এবং এসিল্যান্ড ও এডিএমের খরচের জন্য ২০ হাজার টাকা দিতে হবে। তারা তার দাবিকৃত টাকা দিতে অস্বীকার করলে, মামলার রায় তাদের বিপক্ষে যাবে বলে জানিয়ে দেন। এছাড়া তাদের চরম ক্ষতি হবে বলে তাদেরকে হুমকি দেন শাহআলম। 
এক পর্যায়ে অব্যাহত হুমকিতে তাছলিমা, তার মা ও ভাবী ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন। আমিরাবাদ ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান ও তার পার্শ্ববর্তী বাড়ির মো. মাসুূদ আলম এবং তার প্রবাসে থাকা দুই ভাই সহআরো কয়েকজন লোককে অবগত করে শাহআলমের অফিসে যান। তার দাবি মোতাবেক ভূমি অফিসের পশ্চিম পাশের কক্ষে গিয়ে তাছলিমা ও তার ভাবী শাহআলমের হাতে ২০ হাজার টাকা তুলে দেন। এসিল্যান্ড ও এডিএম কে শাহ আলম ম্যানেজ করবেন বলে বিষয়টি কাউকে জানাতে নিষেধ করেন। পরবর্তীতে তারা জানতে পারেন শাহআলম প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে এসিল্যান্ড ও এডিএমের নামে তাদেরকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
এমতাবস্থায় শাহ আলমের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তি, টাকা ফেরতসহ আইনগত ব্যবস্হা গ্রহণে তিনি জেলা প্রশাসকসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের নিকট লিখিত আবেদন জানিয়েছেন। 
এ ব্যাপারে উপ-সহকারি ভূমি কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, আমি কথা অনুসারে তাদের কাজ করে দিয়েছি। টাকা  গ্রহণের ব্যাপারে অফিসে বসে কথা বলতে হবে, ফোনে মন্তব্য করা যাবে না। কোথাও ভুল হলে প্রয়োজনে ঠিক করে দেবো।
সোনাগাজী উপজেলা  সহকারি কমিশনার (ভূমি) এসএম অনিক চৌধুরী বলেন,  তাছলিমা আক্তারের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তে সত্যতা পেলে শাহআলমের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্হা গ্রহণ করা হবে।

Related Article
comment
মোঃ মনির হোসেন বকাউল
29-Sep-23 | 10:09

Good news

মোঃ মনির হোসেন বকাউল
10-Dec-23 | 04:12

Good