১৭ Jun ২০২৫
হোম স্বাস্থ্য সারাদেশ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি ও বাণিজ্য খেলাধুলা বিনোদন আন্তর্জাতিক ধর্ম ও জীবন লাইফ স্টাইল শিক্ষা প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান পরিবেশ চাকরি বা ক্যারিয়ার মতামত আইন-আদালত কৃষি ও প্রযুক্তি বিশেষ সংবাদ অপরাধ সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিশ্বকাপ ফুটবল
সারাদেশ

ফেনীর ফুলগাজীর মুহুরী নদীর বাঁধ ভাঙনের স্থান ও ফুলগাজীতে নির্মাণ হওয়া একটি পাওয়ার স্টেশন পরিদর্শন

২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২

কামরুল আরেফিন,
ফেনী জেলা (ফেনী) প্রতিনিধি

ছবি: মুহুরী নদীর বাঁধ পরিদর্শনে একটি দল। ছবিঃ সংগৃহিত।

ফেনীর ফুলগাজীর মুহুরী নদীর বাঁধ ভাঙনের স্থান ও ফুলগাজীতে নির্মাণ হওয়া একটি পাওয়ার স্টেশন পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ড. প্রকৌশলী জিয়া উদ্দিন বেগ পিঞ্জ (পরিকল্পনা, নকশা ও গবেষণা)। শুক্রবার সন্ধ্যায় তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি দলকে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

প্রতি বছরের মতো এই বছরও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে মুহুরী ও কহুয়া নদীর বিভন্ন স্থানের বাঁধ ভেঙ্গে ফুলগাজী ও পরশুরামের গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হয়। তলিয়ে যায় এইসব গ্রামের বাড়ি-ঘর রাস্তাঘাট, শতশত মাছের ঘের। ক্ষতিগ্রস্থ হয় এলাকার ফসলি জমি। চলতি মাসের ১৯ তারিখ মুহুরী নদীর দুইটি স্থানে বাঁধ ভেঙে ৫টি গ্রাম ও চলতি বছরের ২০ জুন মুহুরী নদীর ৪টি স্থানে বাঁধ ভেঙে ১২টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছিল। পানি উন্নয়ণ বোর্ড ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা মেরামত করে দেয়ার পর আবারও পরবর্তী বছরে কোন না কোন স্থানে বাঁধের বিভিন্ন অংশে ভাঙন দেখা দেয়।

পানি উন্নয়ণ বোর্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ড. জিয়া উদ্দিন বেগ ঘটনাস্থল পরিদর্শন কালে শনিবার থেকে বাঁধগুলো মেরামত করার নির্দেশনা দেন। তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জানান, স্থায়ী মেরামত করা ছাড়া ভাঙন রোধ করা সম্ভব নয়। স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করতে হলে নদীর দুই পাশ থেকে আরও ১৫ মিটার, ১৫ মিটার করে মোট ৩০ মিটার জমি অধিগ্রহন করে নদীটি বড় করতে হবে। নদীটিকে ড্রেজিংও করতে হবে। এই নদীটির স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করতে প্রায় ৭৫০ কোটি টাকা খরচ হবে। আগামী এক বছর এটির উপর গবেষণা করা হবে পরবর্তীতে মুহুরী ও কহুয়া নদীর স্থায়ী বাঁধ নির্মান করা হবে। এই বাজেট পাশ হয়ে আসতে প্রায় ৪ বছর লেগে যাবে বলেও তিনি জানান।

এর আগে দলটি ফুলগাজীতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্মানাধীন একটি পাওয়ার স্টেশনটি পরিদর্শণ করেন। পাওয়ার স্টেশনটির মাধ্যমে এই এলাকার কৃষকদের প্রিপেইড মিটারের মাধ্যেমে কৃষি জমিতে সেচকাজ পরিচালনা করার জন্য পানি সরবরাহ করা হবে। বর্তমানে পাওয়ার স্টেশনটির প্রায় ৮৬ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে বলে জানান। স্টেশনটি চালু হলে এই এলাকার কৃষকের জমিতে চাষাবাদ করার জন্য যে পানি প্রয়োজন সে সমস্যার সমাধান হবে বলেও জানান।

পরিদর্শন দলে আরও ছিলেন পানি উন্নয়ণ বোর্ডের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক রাফিউস সাজ্জাদ, ত্বত্তাবধায়ক প্রকৌশলী গৌরপদ সূত্রধর, পানি উন্নয়ণ বোর্ডের ফেনীর নির্বাহী প্রকৌশলী জহির উদ্দিনসহ বোর্ডের উর্ধতন কর্মকর্তারা।

Related Article
comment
মোঃ মনির হোসেন বকাউল
29-Sep-23 | 10:09

Good news

মোঃ মনির হোসেন বকাউল
10-Dec-23 | 04:12

Good