২০ নভেম্বর, ২০২২
ছবি: স্কুলের মূল ফটক।
ফেনীর উত্তরাঞ্চলের অন্যতম বিদ্যাপীঠ ফুলগাজী সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়। এক সময়ে এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার সুনাম সারা দেশে ছড়িয়ে পড়লেও সরকারি হওয়ার পর থেকে নিস্তেজ হয়ে পড়েছে এখানকার শিক্ষা ব্যবস্থা। বিভিন্ন অপরাধ-অপকর্ম, গ্রুপিং,অপরাজনীতি ও নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে বিদ্যালয়ের ছাত্ররা। এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অভিভাবক ও সুশীল সমাজ।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে স্কুল প্রাঙ্গনে নেশা জাতীয় ঘুমের ওষুধ সেডিল ও পেইস-টু নিয়ে একাধিক গ্রুপের মধ্যে মারামারি। এ সময় দশম শ্রেণির ছাত্র মুন্নার হাতে পেইস-টু নামের ঘুমের ঔষধের পাতা থেকে একাধিক ওষুধ সেবন করতে দেখা যায়।
গোপন সূত্র জানিয়েছে, দীর্ঘদিন যাবৎ স্কুলের বিভিন্ন শ্রেণীর একাধিক গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার ও নেশা জাতীয় দ্রব্যের বহুল ব্যবহার শুরু হয়েছে।
এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য দশম শ্রেণির ব্যবসায় শিক্ষা শাখার ছাত্র মুন্না, কাউসার, ফুয়াদ, কাজী ও মামুন।
নবম শ্রেণির ছাত্র অর্পণ, সাইদ ও আকবর। অষ্টম শ্রেণির ছাত্র নিশাত ও ওমর। সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র রাব্বি ও প্রিয়মের নামে নেশার ঔষধ সেবনের কথা উঠে এসেছে।
এছাড়াও উক্ত বিদ্যালয়ের ছাত্রদের সঙ্গে সঙ্গ দিতে এসেছে নতুন বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র প্লাবন, দিদার, পুলক ও আরিয়ান।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে বিদ্যালয়ের পিছনে টয়লেটের আশেপাশের এলাকায় ধূমপান করার দৃশ্য।
অন্যদিকে ফুলগাজী মহিলা কলেজের পিছনের অংশে এইসব বখাটে ছাত্রদের আড্ডার অন্যতম স্থান।
চোখের সামনে এসব দেখেও নীরব ভূমিকা পালন করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ। অভিভাবকরা অভিযোগ করেন, এই বিদ্যালয় আগে কিছুটা পড়ালেখা থাকলেও সরকারি হওয়ার পরে পড়ালেখা হয় না বললেই চলে। অভিভাবকরা আরো বলেন, শিক্ষকরা
নিজেদের মধ্যে ক্ষমতা আর
দ্বন্দ্বে লিপ্ত হচ্ছেন, যার ফেলে
কোমলমতি শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় মনোযোগী না হয়ে নেশাগ্রস্হ হয়ে পড়ছে।
নেশা জাতীয় ওষুধ সেবনের বিষয়ে প্রধান শিক্ষক বলেন, বিষয়টা আমি জেনেছি আগামীতে এই বিষয়ে বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষকদেরকে সজাগ থাকার অনুরোধ করেন।