২৮ ডিসেম্বর, ২০২২
ছবি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
মেট্রো ট্রেনে চড়ার জন্য এমআরটি পাস কিনেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে মেট্রোরেলের উত্তরা উত্তর স্টেশনের কনকোর্স লেভেলের টিকিট অফিস মেশিন (টিওএম) থেকে ৫০০ টাকা পরিশোধ করে তিনি এই পাস নেন। একইসঙ্গে ছোট বোন শেখ রেহানাও একটি পাস নেন। প্রধানমন্ত্রী মোট এক হাজার টাকা পরিশোধ করেন।
এমআরটি পাস সংগ্রহ করে কনকোর্স লেভেল থেকে চলন্ত সিঁড়ি ব্যবহার করে তিনি প্লাটফর্মে উঠেন। এর আগে তিনি দুপুর ১টা ৩২ মিনিটে উত্তরা উত্তর স্টেশনের এন্ট্রি প্ল্যান-বি এর চলন্ত সিঁড়ি ব্যবহার করে কনকোর্স লেভেল উঠেন। সেখানে কনকোর্স লেভেল সম্পর্কে ধারণা নেন।
তার আগে, দুপুর ১টা ২৫ মিনিটে তিনি উত্তরার উত্তর স্টেশনে পৌঁছান এবং ১টা ২৯ মিনিটে তিনি ফলক পরিদর্শন শেষে মূল ফলকের পাশে তেঁতুল গাছের চারারোপণ করেন। সেখানে আরও একবার মোনাজাত অংশ নেন তিনি।
এর আগে, বেলা ১১টা ৫ মিনিটে উত্তরা ১৫ নম্বর সেক্টরের সি-১ ব্লকের খেলার মাঠে বহুল কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের মেট্রোরেলের ফলক উন্মোচন করে মেট্রোরেলের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে দ্রুতগতির যানবাহন ব্যবস্থার মেট্রোরেল যুগে প্রবেশ করে বাংলাদেশ। তবে আজ উদ্বোধন হলেও ‘স্বপ্নের বাহনে’ চড়তে যাত্রীদের অপেক্ষা করতে হবে বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল পর্যন্ত।
এদিকে মেট্রো ট্রেনের অভ্যন্তরে অন্যান্য কোচে আগে থেকেই আসন গ্রহণকারী ২০০ জন আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে যাত্রাপথে কুশল বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী। পরে আগারগাঁও স্টেশনের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে আনুষ্ঠানিক মেট্রোরেল চলাচলের উদ্বোধন করবেন তিনি।
মেট্রোরেলের উদ্বোধনের মাধ্যমে রাজধানীবাসীর দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্নপূরণের পাশাপাশি যোগাযোগব্যবস্থার নতুন অধ্যায় সূচিত হলো। রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ী থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার পথে মেট্রোরেল লাইন নির্মাণ করা হচ্ছে। আজ উদ্বোধন করা হয় উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশের, যার দৈর্ঘ্য ১১ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। উদ্বোধনের পর রুটের মধ্যবর্তী স্টেশনে কোনো স্টপেজ ছাড়াই উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চলবে মেট্রোরেল।
প্রথম কয়েকদিন প্রতিটি প্ল্যাটফর্মে ১০ মিনিট ধরে যাত্রীদের জন্য অপেক্ষা করবে মেট্রোরেলের ট্রেনগুলো। কারণ নগরবাসী এই নতুন পরিবহন ব্যবস্থার সঙ্গে পরিচিত নয়। প্রাথমিকভাবে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ৬বগিবিশিষ্ট ১০ সেট ট্রেন চলাচল করবে। এ পর্যায়ে ট্রেন চলবে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। পরে চলাচলের সময় বাড়ানো হবে এবং চাহিদা অনুযায়ী ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হবে। সম্পূর্ণভাবে মেট্রোরেল চলাচল শুরু হলে প্রতি সাড়ে তিন মিনিট অন্তর একটি ট্রেন চলবে।