২৭ অক্টোবর, ২০২২
ছবি: বাবা মা ও তিন সন্তান
পরিবারে সন্তান জন্ম নিলে সবার মধ্যে বিরাজ করে আনন্দ উচ্ছাস। আবার কিছু পরিবারে সন্তান জন্ম নেওয়ার পরে দুঃশ্চিন্তা যেন নিত্য সঙ্গী হয়ে ওঠে। সদ্য জন্ম নেওয়া শিশুগুলোর দুধের জন্য যখন কোনো বাবাকে অন্যের দ্বারস্থ হতে হয় তখন সেই বাবাই জানে সে কতটা অসহায়।
গত ০৮ অক্টোবর গাইবান্ধা সদর উপজেলার ঘাগোয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ ঘাগোয়া গ্রামের মুকুল মিয়া ও পিয়ারা বেগম দম্পতির একসঙ্গে তিন সন্তানের জন্ম হয়। দরিদ্র দিন মজুর দম্পতি প্রথম দিকে খুশি হলেও পরবর্তী সময়ে শিশু তিনটির চিকিৎসা খরচ এবং দুধ ক্রয় করতে গিয়ে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছেন বাবা মুকুল মিয়া । দিন মজুরি করে উপার্জিত টাকার সঙ্গে প্রতিনিয়ত ধার করে কিনতে হচ্ছে সন্তানদের জন্য দুধ। সংসারের অন্যান্য খরচতো আছেই। ধার করে কতদিন চলে। শেষে লোকলজ্জা ভুলে সন্তানদের আহারের জন্য হাত বাড়িয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ও বিত্তবানদের কাছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা আশ্বাস দিলেও মেলেনি কোনো সাহায্য।
মুকুল মিয়া বলেন, অনেক কয়েক বছর পরে এক ছেলে সন্তানের আশা করে আল্লাহ আমাকে এক সাথে দুই মেয়ে, এক ছেলে দিয়েছেন। আমি একজন দিন মজুর মানুষ। আমার পক্ষে তিন তিনটি শিশু সন্তানের ভরন পোষণ করা একেবারেই অসম্ভব হয়ে পরেছে। আমার পরিবারও অসুস্থ। শিশু তিনটির প্রতিদিন প্রায় দুই প্যাকেট দুধ কিনতে হয়। এ ছাড়া জন্মের পর থেকে তাদের অসুখ বিসুখতো লেগেই আছে। মানুষের কাছে হাত পাতা অত্যন্ত নিচু কাজ জেনেও একপ্রকার বাধ্য হয়ে মানুষের সাহায্য সহযোগিতা কামনা করছি।
এ বিষয়ে ঘাঘোয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুর জামান রিংকু বলেন, বিষয়টি আমাকে মুকুল মিয়া মৌখিক ভাবে জানিয়েছে । আমি ঢাকায় আছি, ঢাকা থেকে এসে যতটুকু পারি সহযোগিতা করবো।
এ বিষয়ে গাইবান্ধা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শরিফুল আলম বলেন, বিষয়টি আমি জানিনা, এখন শুনলাম। সমস্যা হলে হাসপাতলে যোগাযোগ করতে হবে কোন চিকিৎসা লাগলে আমরা সহযোগিতা করবো। আর্থিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে সরকারি যে সুযোগ সুবিধা আছে আমাদের কাছে আবেদন করলে তার ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।
যদি কোন স্ব-হৃদয়বান ব্যক্তি শিশু তিনটিকে সাহায্য করতে চান তাহলে ০১৩২৪১৪৩৭২০ (বিকাশ) এই নাম্বারে মুকুল মিয়ার সাথে কথা বলে আর্থিক সহায়তা করতে পারেন।
Good news
Good