০৫ মার্চ, ২০২৩
ছবি: শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটি
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার কদমতলী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরির বিরুদ্ধে ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে শিক্ষা অফিস। সত্যতা জানতে গঠিত হয়েছে তদন্তে কমিটি।
রোববার (৫ মার্চ) দুপুরে ওই বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাহাতাব হোসেন।উপজেলা অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজার আলমগীর হোসেনকে প্রধান করে তিন সদস্যের এই কমিটি গঠন করা হয়।
তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি অভিযুক্ত দপ্তরি শাহীন মিয়াকে বরখাস্তের জন্য প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত শাহীন মিয়া (৪০) উপজেলার হোসেনপুর ইউনিয়ন কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি ওই ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য। তার বাড়ি ওই ইউনিয়নের আকবর নগর গ্রামে। বাবার নাম মৃত নজের আলী।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম মন্ডল জানান, বুধবার (১ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে টিফিনের সময় নির্যাতিত ওই ছাত্রী ক্লাসরুমে একা অবস্থান করছিল। এসময় বিদ্যালয়ের দপ্তরি শাহীন মিয়া মেয়েটির স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়। তাৎক্ষণিক মেয়েটি শিক্ষকদের কিছু না জানিয়ে বাড়িতে গিয়ে তার মাকে বিষয়টি জানায়। পরে মেয়েটির মাসহ স্বজনরা বিদ্যালয়ে এসে শাহীন মিয়ার বিচার দাবি করে। এসময় এলাকাবাসী ও অন্য অভিভাবকরাও বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। সেই সময় শাহীনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে তারা শান্ত হন।
এদিকে, অভিযুক্ত শাহীনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন নির্যাতিতাসহ তার মা ও স্বজনরা।