০১ ডিসেম্বর, ২০২৪
ছবি: ধুনটে পাঠ বন্ধ গোসাইবাড়ী মহিলা কলেজ
বগুড়ার ধুনট উপজেলার গোসাইবাড়ী ইউনিয়নের গুয়াডহরী গ্রামে অবস্থিত গোসাইবাড়ী মহিলা কলেজ।
১৯৯৯ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
প্রতিষ্ঠার দুই বছরের মাথায় বিএনপি সরকার ক্ষমতায় আসলে ২০০২ সালে কলেজটির কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হয়। তারপর থেকে কলেজটি বেশ কয়েক বছর ধারাবাহিক ভাবে সুনামের সাথে পরিচালিত হতে থাকে।
এরপর তত্ত্বাবধায়ক সরকার দেশের দায়িত্ব গ্রহণ করে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে কলেজটি কিছুটা গতি হারিয়ে নানা সংকটে ধুকে ধুকে চলতে থাকে।
জানা যায়, ২০০৬ সালের কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত হন ইসলাম শিক্ষা বিভাগের শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম।
তিনি ভারপ্রাপ্ত অধ্যাক্ষের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই তার বিরুদ্ধে সীমাহীন দুর্নীতি। গোসাইবাড়ি মহিলা কলেজের ছাত্রী ভর্তি, পাঠদানসহ অন্যান্য প্রাতিষ্ঠানিক সকল কার্যক্রম সম্পূর্ণরুপে বন্ধ রেখে নিজে গা ঢাকা দেন।
গত ৫ আগষ্ট ছাত্র জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে এলাকাবাসী আশাবাদী কলেজটি হয়তো আবার আলোর মুখ দেখবে।
অন্তবর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীনই বন্ধ থাকা কলেজটি পুনরায় চালু করার দাবি স্থানীয়দের।
সরেজমিনে দেখা যায়, গোসাইবাড়ি মহিলা কলেজটি বর্তমানে জরাজীর্ণ পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
কলেজটির কক্ষের সব কিছু প্রায় ভেঙে পড়েছে।
কলেজের পরিত্যক্ত কক্ষ এখন মাদকসেবীদের নিরাপদ আস্তানায় পরিণত হয়েছে।কক্ষ থেকে কিছুক্ষণ পরপরই বিভিন্ন বয়সী মাদকসেবীদের বেরিয়ে আসতে দেখা যায়। দিনে রাতে নিয়মিত চলে মাদক সেবন ও অনৈতিক কাজ।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, প্রত্যন্ত পল্লী গ্রামে অবস্থিত কলেজটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমাদের সন্তানদের অনেক কষ্ট করে অন্য জায়গায় লেখাপড়া করতে হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খৃষ্টফার হিমেল রিছিল বলেন, আমি এ উপজেলায় কিছুদিন আগে এসেছি।
স্থানীয় কয়েকজন কলেজের বিষয়টি নিয়ে আমার কাছে এসেছিল। তাদের সাথে আলোচনা করে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।