০৯ মে, ২০২৩
ছবি: সোনাহাটা-বাগবাড়ী সড়কের নিমগাছী ও বেড়েরবাড়ী এলাকার বাঙ্গালী নদীর সংযোগ ব্রীজে এর চিত্র
বগুড়ার ধুনটে মাদকসেবীরা ব্রীজের লোহা গায়েব করেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা উপজেলার সোনাহাটা-বাগবাড়ী সড়কের নিমগাছী ও বেড়েরবাড়ী এলাকার বাঙ্গালী নদীর সংযোগ ব্রীজে এ লোহা গায়েবের ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, গত ২০১২ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের আওতায় সোনাহাটা - বাগবাড়ি সড়কের নিমগাছি ও বেড়েরবাড়ী এলাকার বাঙ্গালী নদীর উপর একটি ব্রীজ নির্মাণ হয়। বগুড়ার মেসার্স এসএ কন্ট্রাকশন নামক একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ব্রীজটি নির্মাণ করে।
ওই বছরের ২৫ জুলাই বাঙ্গালী নদীর উপর নির্মিত ২৮৬.৬৬ মিটার দীর্ঘ পিএসসি গার্ডার ব্রীজ উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক। প্রায় একযুগের ব্যবধানে বালু উত্তোলন ও মাদক কারবারিদের কারনে ব্রীজের দৃশ্যমান পরিবর্তন হয়েছে অনেকটা।
সরজমিনে দেখা যায়, বালু উত্তোলনের কারনে যেমন ব্রীজের পিলারের নিচ থেকে মাটি সরে গিয়েছে তেমনি মাদকসেবীদের কারনে ব্রীজের উপরের প্রটেকশন বা নিরাপত্তা লোহাও গায়েব হয়েছে। ব্রীজের প্রতিটি জোড়া পিলারের মাঝখানে সংযোগ নিরাপত্তার জন্য ব্যবহার হয়েছিল দীর্ঘ লৌহ দন্ড। স্থানীয় এলাকাবাসি জানায় ব্রীজটির নিমগাছীর এই অংশ হতে লোহা গায়েব হওয়ার পর ব্রীজের সংযোগ পয়েন্ট গুলো ভেঙ্গে যাচ্ছে। যাত্রা পথে মসৃণ ব্রীজেও বিরক্তিকর ঝাকুনী সহ্য করতে হচ্ছে অনেকের। রাতের আঁধারে ব্রীজের ভাঙ্গা অংশ পায়ের সাথে লেগে দুর্ঘটনায় পড়ছে পথচারী।
রবিউল নামের এক গাড়ী চালক জানান, রাতে প্রায়ই ১১ থেকে ১৭/১৮ বছর বয়োসী ছেলেদের আনাগনা দেখা যায়। বাতাসে নেশা জাতীয় দ্রব্যের গন্ধও পাওয়া যায় অনেক সময়। স্থানীয় এক কৃষক জানান, ব্রীজের লোহাটি হয়তো ছিচকে মাদকসেবীরা চুরি করে নিয়ে গেছে।
অনেক সময় মধ্য রাতেও এখানে লোকজন দেখা যায়। নদী ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এলাকায় পুলিশের নজরদারি বাড়ালে মাদকসেবীদের আনাগনা অনেকটা বন্ধ হবে বলেও মনে করেন স্থানীয় বিশিষ্ট জনেরা।
প্রশাসন বলছে এলাকা জুড়ে মাদক বিরোধী অভিযান অব্যহত আছে। অভিভাবকদের সন্তানদের প্রতি নজরদারি সহ সামাজিক সচেতনতা বাড়াতে হবে।