১০ মার্চ, ২০২৪
ছবি: কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনের
কক্সবাজারমুখী পর্যটকদের কষ্ট কমাতে আরও নতুন ট্রেন চালু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। যার মাধ্যমে পরিবহন ভোগান্তি কিছুটা হলেও কমবে বলে মানে করছেন পর্যটকরা।
শনিবার (৯ মার্চ) এক কর্মশালায় রেলওয়ের মহাপরিচালক কামরুল আহসান চলতি বছরের জুনের মধ্যে ঢাকা-কক্সবাজার রুটে আরও তিনটি ট্রেন চালু করার কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, আগামী জুনের মধ্যে ঢাকা-কক্সবাজার পথে আরও তিন জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন চালু করা হবে। চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত চলবে এক জোড়া কমিউটার ট্রেন। এই ট্রেনগুলোর কোনটি কবে চালু হবে, সেই তারিখ এখনো ঠিক হয়নি। আমার ব্যক্তিগত চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই। মানুষের কাছে রেলসেবা পৌঁছানো আমার বড় চাওয়া।
টিকিট কালাবাজারিদের ধরতে সর্বোচ্চ চেষ্টার কথা জানিয়ে রেলমন্ত্রী বলেন, আসন্ন ঈদে যাত্রীদের কালোবাজারিমুক্ত টিকিট সেবা দেওয়ার চেষ্টা করব। দায়িত্ব পালনে কোনো রকম অবহেলা সহ্য করা হবে না। যখন বুঝব আর কাজ করতে পারব না, তখন নিজে থেকেই দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াব।
তিনি আরো বলেন, রেল পরিচালনায় আমাদের বড় সংকট জনবল। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী, রেলের জমি কে দখল করেছে- তা দেখার দরকার নেই, দখল হওয়া জমি ফিরিয়ে আনতে হবে। নিজেদের মধ্যে সমন্বয়হীনতার কথা তুলে ধরে রেল সচিব হুমায়ুন কবীর বলেন,আমাদের চালকরা যে লোকোমোটিভ দিয়ে ট্রেন চালান পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে তা সম্ভব নয়। বাংলাদেশ রেলওয়েতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা রয়েছে এটা সত্য।
তবে সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশ রেলওয়ের সবকিছুই খারাপ, এমনটা বলা কিন্তু ঠিক হবে না। রেলে অনিয়ম আছে, ভুল আছে, চ্যালেঞ্জ আছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমরা কিন্তু বসে নাই। তিনি আরো বলেন, কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমাদের পরিকল্পনার অভাব রয়েছে, এ কথা সত্য। তবে সকল দুর্বলতা কাটিয়ে আস্থা অর্জনের চেষ্টা চলছে। ব্যর্থতার দায় নিয়ে মন্ত্রী-সচিব ও মহাপরিচালকের চলে যাওয়া তো সমাধান নয়।
রেলে গোপনীয়তা বলতে কিছু নেই। গণমাধ্যমে প্রতিবেদনের কারণে রেলের ইমেজ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আমার কাছে তা মনে হয় না। সত্য তো তিতে হয়। সত্য কথাই গণমাধ্যমে আসছে।
সবাইকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার চেষ্টা করছি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় রেলপথমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা আগামীতে রেলকে ভালো অবস্থায় নিয়ে যাবো।
Good news
Good