২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
ছবি: ছবি সংগৃহিত
সুদীর্ঘ ৪৫ বছর পর ঢাকায় আবার চালু হলো আর্জেন্টিনার দূতাবাস। সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর বনানীতে চালু হয়েছে আর্জেন্টিনার দূতাবাস। দূতাবাসের উদ্বোধনের সময় দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান্তিয়াগো ক্যাফিয়ারো এবং বাংলাদেশের পররাস্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম উপস্থিত ছিলেন। সান্তিয়াগো ক্যাফিয়ারো বলেছেন, পুনরায় দূতাবাস চালু শুধু দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের পাশা-পাশি , দুই দেশের জনগণের ভালোবাসা ও বন্ধুত্বপর্ণ সম্পর্ক আরও জোরালো হবে। সান্তিয়াগো ক্যাফিয়ারো দূতাবাস উদ্বোধনের পর আর্জেন্টিনা এবং তাঁর দেশের ফুটবলারদের প্রতি অগাধ ভালোবাসার জন্য বাংলাদেশের জনগণের প্রতি গভীর ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা প্রকাশ করেন।
আর্জেন্টিনার পতাকা উত্তোলনের পর ইনস্টার লিমিটেড ভবনের দোতলায় আর্জেন্টিনা দূতাবাসের নামফলক উন্মোচন করেন সান্তিয়াগো ক্যাফিয়ারো ও শাহরিয়ার আলম। তখন ফুটপাতে বড় স্ক্রিনে দেখানো হচ্ছিল কাতার বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা দলের নৈপুণ্য আর বাংলাদেশে ফুটবল ফ্যানদের উচ্ছাস উদ্যাপন।
বাংলাদেশ ও আর্জেন্টিনার জাতীয় সংগীতের পর ফিতা কেটে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয় দূতাবাস। ১৯৭৮ সালে আর্জেন্টিনার তখনকার সামরিক সরকার বাংলাদেশে দূতাবাস বন্ধ করে দিয়েছিল। এরপর থেকে আর্জেন্টিনার ভিসাসহ বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সব ধরনের কার্যক্রম দিল্লিতে থাকা দেশটির মিশনের মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে আসছিল।
আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান্তিয়াগো ক্যাফিয়ারো বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ কখনো ভোলেনি। পৃথিবীকে তারা দেখিয়েছে আর্জেন্টিনার প্রতি ভালোবাসা। আর সেই কারণে আমরা এখানে এসেছি, সেই ভালোবাসার প্রতি সুবিচার করতে চাই’।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, এটিকে এক আনন্দের ক্ষণ উল্লেখ করে বলেন, ‘বাংলাদেশে পুনরায় আর্জেন্টিনার দূতাবাস চালু শুধু কূটনীতি নয়, আবেগরও বহিঃপ্রকাশ। এর মধ্য দিয়ে দুই দেশ এবংজনগণের গভীর বন্ধুত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে’। ফুটবলও যে ভালবাসার মুর্ত প্রতীক হতে পারে। ঘুচাতে পারে হাজার হাজার মাইলের দূরত্ব। ঢাকায় আর্জেন্টিনার দূতাবাস চালু করে তা আবার বিশ্ববাসির কাছে প্রমাণ হলো।