৩০ এপ্রিল ২০২৫
হোম স্বাস্থ্য সারাদেশ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি ও বাণিজ্য খেলাধুলা বিনোদন আন্তর্জাতিক ধর্ম ও জীবন লাইফ স্টাইল শিক্ষা প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান পরিবেশ চাকরি বা ক্যারিয়ার মতামত আইন-আদালত কৃষি ও প্রযুক্তি বিশেষ সংবাদ অপরাধ সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিশ্বকাপ ফুটবল
জাতীয়

চট্টগ্রাম কাস্টমসের রাসায়নিক ল্যাবে পণ্যের নমুনা পরীক্ষায় দীর্ঘ জট

১৮ জানুয়ারী, ২০২৩

মোঃ সোলায়মান,
ডাবলমুরিং উপজেলা ( চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

ছবি: রাসয়নিক পরিক্ষাগর, চট্রগ্রাম

আমদানি রপ্তানি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বছরের পর বছর কাস্টমসের ল্যাবের নানাবিধ সমস্যা চলতে থাকলেও অজানা কারণে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজর নেই। 

বন্দর থেকে ক্ষেত্র বিশেষে পণ্য খালাসে রাসায়নিক পরীক্ষা বাধ্যতামূলক। বিশেষ করে, ফলমূল ফরমালিন পরীক্ষা ছাড়া খালাস করা যায় না। ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় জটের কারণে বন্দর থেকে নির্দিষ্ট সময়ে পণ্য খালাস করতে পারছে না আমদানিকারকরা। এতে আমদানিকারকদের পোর্ট ডেমারেজ গুণতে হচ্ছে।

প্রায় এক বছর ধরে একজন সহকারী কেমিক্যাল এসিস্ট্যান্ট দিয়েই চলছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের রাসায়নিক পরীক্ষাগারের (ল্যাব) কাজ। অর্থাৎ বর্তমানে ল্যাবে একজন পূর্ণাঙ্গ রাসায়নিক পরীক্ষকও নাই। ল্যাবের একমাত্র পূর্ণাঙ্গ পরীক্ষক মো. আবদুল হান্নান অবসরে যান গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে। বর্তমানে সহকারী কেমিক্যাল এসিস্ট্যান্ট মো. হেলাল হাসান ল্যাবের কয়েকজন অফিস সহকারী নিয়ে কোনোভাবে জোড়াতালি দিয়ে পরীক্ষা–নিরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে। 

ল্যাবের পরীক্ষক সংকটের কারণে দেখা দিয়েছে পণ্যের নমুনা জট।

রাসায়নিক ল্যাবের কর্মকর্তারা জানান, বর্তমানে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের ল্যাবে প্রতিদিন গড়ে বিভিন্ন পণ্যের শতাধিক নমুনা আসে। এই বিশাল পরিমাণ নমুনা পরীক্ষা করতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এছাড়া অনেক নমুনার পরীক্ষা আবার দ্রুত করে দিতে হয়। বর্তমানে যে অবস্থা এতে অন্তত ১০ জন রাসায়নিক পরীক্ষক দরকার। 

চট্টগ্রাম কাস্টমস এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. গোলাম রাব্বানি রিগ্যান এক সাক্ষাৎকারে বলেন, কাস্টমসের ল্যাব নিয়ে আসলে আমাদের আর কিছু বলার নাই। চট্টগ্রাম কাস্টমস থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আহরিত হয়। অথচ এই ল্যাবে একজন পূর্ণাঙ্গ রাসায়নিক পরীক্ষকও নেই। ফলে পণ্যের পরীক্ষার জন্য আমদানিকারকদের সীমাহীন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

Related Article