১৬ ডিসেম্বর, ২০২৩
ছবি: সমাবেশের খণ্ডচিত্র
চট্টগ্রাম-১৪, চন্দনাইশ-সাতকানিয়া (আংশিক) আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নাগরিক কমিটির প্রার্থী মো. আবদুল জব্বার চৌধুরীর সমর্থনে ভোটারদের উদ্বুদ্ধ করতে ছাত্র ও যুব সমাবেশ উপজেলার ছৈয়াদাবাদ তার নিজ বাড়িতে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উপজেলা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের আয়োজনে গত ১৫ ডিসেম্বর রাতে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক সাইফুল আলম তুষারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে দিন নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন ভোটের মাধ্যমে ৩ বারের নির্বাচিত সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম-১৪, চন্দনাইশ-সাতকানিয়া (আংশিক), ২৯১ আসনের নাগরিক কমিটির প্রার্থী মো. আবদুল জব্বার চৌধুরীর।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি ও বরকল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হেলালউদ্দিন চৌধুরী, সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল্লাহ আল নোমান বেগ, কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা গেয়াস উদ্দীন সুজুন, যুবলীগ নেতা চৌধুরী আমীর মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, আকবর আলী, আবদুল হাকিম, নুরুল আমজাদ চৌধুরী, বদিউল আলম বদি, কাজী শিমুল, রুবেল।
মো. আবু ফরমানের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বৈলতলী আ’লীগ নেতা আনোয়ার মোস্তাফা চৌধুরী দুলাল, খাগরিয়া ইউনিয়ন আ’লীগের সাবেক সভাপতি তোফা আহমেদ, গাছবাড়িয়া কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাঈনুদ্দীন বাপ্পী, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা ওমর ফারুক চৌধুরী, ছাত্রলীগ নেতা সোহেল রানা, আবির হাসান, শাহরুক।
এ সময় আবদুল জব্বার চৌধুরী বলেন, বেকারত্ব দূরীকরণের জন্য আনোয়ারা, পটিয়া এলাকায় শিল্প প্রতিষ্ঠান থাকলেও তার নির্বাচনী এলাকায় অর্থনৈতিক জোন স্থাপন করে বেকারত্ব দূর করতে তাকে নির্বাচিত করার আহবায়ন করেন। বিগত সময় রাজনৈতিক দূরদর্শিতার কারনে এই অঞ্চলের আইনশৃঙ্খলা অবনতি ছিল বলে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও দালাল বৃদ্ধি পেয়েছিল। দক্ষিণ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তরসহ সকল অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ করার আশ্বাস প্রদান করেন।
তিনি আরোও বলেন সরকারি কোন কাজ কোন দপ্তর থেকে পাস করতে হয় এই বিষয়ে অন্য প্রার্থীর থেকে তিনি বেশি অভিজ্ঞ। তিনি উপজেলা পরিষদের ক্ষমতা থাকাকালীন তার কোন সম্পত্তি বাড়েনি বলে উল্লেখ করেন। যারা তার নেতা কর্মীদের হুমকী দিয়ে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে চাচ্ছে তিনি ভয় পেলে ৩ বারের নির্বাচন করতে পারতো না বলে উল্লেখ করেন। বিরোধী পক্ষ এত টাকার কাজ করলে এত ভয়ে ক্ষেপে কারচুপি না করে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হওয়ার আহবান জানান। তাকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে বা তার মনোনয়ন ফরম বাতিল করে একা একা না খেলে মাটে এসে খেলার জন্য আমন্ত্রণ জানান তিনি।
তার নির্বাচন করতে গিয়ে নেতা-কর্মীদের ঝগড়া-বিবাধ থেকে দূরে থাকার আহবান জানান, কিন্তু বিরোধী পক্ষের হামলায় তার কোন নেতা-কর্মী হামলা-মামলার শিকার হলে তার সমস্ত দায়ভার নিজের কাঁধে নিবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন।