১০ ডিসেম্বর, ২০২৪
সাকির আমিন, 
ছবি: ছাতকে এল পি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশিকুর রহমানের অনিয়ৃ দুর্নীতি তদন্তে প্রমানিত।
সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার ছৈলা আফজালাবাদ ইউনিয়নের লাকেশ্বর পলিরগাওঁ( এলপি) উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম আশিকুর রহমানের বিরুদ্ধে গত ২৫ আগষ্ট অনিয়ম দুর্নীতির লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন
বিদ্যালয়ের অভিভাবক নেছার আহমদ। অভিযোগে বলা হয়েছে আশিকুর রহমান মাসে ৮ থেকে ১০ দিন বিদ্যালয়ে উপস্থিত হলেও হাজিরা খাতায় পুরো মাসের সাক্ষর করেন।
বিদ্যালয়ে ২০২০ সালে সহকারী প্রধান শিক্ষক, লাইব্রেরিয়ান,নৈশ প্রহরী,পরিচ্ছন্নতা কর্মি ও আয়া সহ ৫ টি পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া অসম্পূর্ণ রেখে মোটা অংকের টাকা নিয়ে নিয়োগ সম্পন্ন করেন।
বিগত ১৬ বছরের বিদ্যালয়ের তহবিলের প্রায় ৫০ লাখ টাকা তছরুপ করেছেন। অতিরিক্ত সেশন ফি,মাসিক বেতন, পরীক্ষার ফি এছাড়া এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছথেকে জামানত বাবদ ১৫ হাজার টাকা নিয়ে ফেরত না দেওয়া।
এসব বিষয় নিয়ে অভিযোগ ওঠলে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মুস্তাফা মুন্না ৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন।
এতে ৯ অক্টোবর তদন্ত কমিটির সদস্য উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মহসিন, এল পি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক হারুন অর রশিদ,
শেখ আফতাব আলী বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে অনিয়ম দুর্নীতি তদন্ত করে অধিকাংশ বিষয়েই দুর্নীতি প্রমানিত হয়েছে বলে তদন্ত প্রতিবেদনে প্রকাশ করেন।
তদন্তের পর আশিকুর রহমানকে বিদ্যালয়ে না যেতে মৌখিক ভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মুস্তাফা মুন্না নিষেধ করলেও তিনি নিয়মিত বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে দাপ্তরিক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ায় বিদয়ালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে রয়েছে নানা আশংকা।
এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় বেঘাত সৃষ্টি হয়েছে। তিনি গোপনে অবৈধ ভাবে রেজিস্ট্রার খাতা তার সাথে রেখে নানা বিষয় উল্লেখ করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাক্ষর নিচ্ছেন। নানা ছলচাতুরী করে।
অভিযোগ কারি অভিভাবক নেছার আহমদ জানান এই শিক্ষককে বিদ্যালয় থেকে অব্যাহতি নাদিলে বিদ্যালয় মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হবে।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আশিকুর রহমান জানান আমি আমার আইন গত প্রক্রিয়ায় আছি। অন্যায় করলে আমার বিরুদ্ধে কতৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম জানান বোর্ডের সীদ্ধান্ত আসলে উনার বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Good news
Good
