১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
ছবি: প্রতারক ব্যবসায়ী ফারুক মিয়া।
সুনামগঞ্জের ছাতকে তিন কোটি টাকা নিয়ে প্রতারক ব্যবসায়ী ফারুক মিয়া উধাও হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। জানাযায় সিলেটের জালালাবাদ থানার লামাকাজী ইউনিয়নের চানপুর গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে ফারুক মিয়া ছাতক শহরে এসে গ্রামীন ফোনের কাস্টমার সার্ভিসের ব্যবসা শুরু করেন। পাশাপাশি তিনি বালি পাথরের ব্যবসা করে ব্যবসায়ী দের আস্থা অর্জন করে কিছু দিনের মধ্যে বনেজান একজন বিশ্বস্ত ও সফল ব্যবসায়ী।
শহরের ব্যবসায়ী দের সাথে গড়েওঠে তার শখ্যতা। অল্পদিনের মধ্যেই ফারুক মিয়া নিজেকে একজন সৎ ব্যবসায়ী হিসাবে পরিচিত করে তোলেন ব্যবসায়ী সমাজে। ফলে অনেক ব্যবসায়ী তার সাথে শেয়ারে ব্যবসা করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। এমনই একজন ব্যবসায়ী শামছুল হকের কাছথেকে ২০ লাখ টাকা নেয় ফারুক মিয়া প্রতি মাসে লাভের একটি অংশ দেয়ার শর্তে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে লভ্যাংশ নাদেয়ায় তার মূলধন ২০ লাখ টাকা ফেরত চাইলে তিনি কালক্ষেপণ করে গত বছরের ২২ ফেব্রয়ারি ইসলামি ব্যাংক ছাতক শাখা হিসাব নাম্বারে ২০ লাখ টাকার একখানা চেক দিলে এ হিসাবে কোন টাকা না থাকায় চেক খানা ডিজনার হয়। পরে এ চেকখানা ফারুক মিয়ার স্ত্রী ফাহিমা সুলতানা জেমী তার আওতায় নিয়ে শামছুল হক কে নগদ ৪লাখ টাকা দিয়ে আর কোন যোগাযোগ করেনি। এভাবেই ব্যবসায়ী দের সাথে প্রতারনা করে পালিয়ে বেড়াচ্ছে ফারুক মিয়া ও তার স্ত্রী ফাহিমা সুলতানা জেমী।
এছাড়া অনুরূপভাবে ফারুক মিয়া কে টাকা দিয়ে ব্যবসায় প্রতারনার শিকার হয়েছেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হাজী বুলবুল আহমদ, কবির মিয়া চৌধুরী, আশরাফুল হক, হাজী সিরাজ মিয়া, ফয়েজ আহমেদ, সহ অনেক ব্যবসায়ী ও সূধীজন। ব্যবসায়ী শামছুল হক জানান আমার ৩০ লাখ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে প্রতারক ব্যবসাসী ফারুক মিয়া উধাও হয়ে ফ্রান্সে আত্মা গোপন করে আছে আমি প্রশাসনের সহযোগিতা চাই। বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হাজী বুলবুল আহমদ জানান আমার ৩৪ লাখ টাকা নিয়ে আমার সাথে প্রতারনা করেছে এ ছাড়া অনেক বালি পাথর ব্যবসায়ীকে পথে বসিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে ফারুক মিয়া। প্রশাসনের কাছে ব্যবসায়ীদের দাবি যেন ইন্টারপোলের মাধ্যমে দেশে এনে এর বিচার করে ব্যবসায়ী দের কষ্ঠার্জিত টাকা ফেরত দেওয়া হয়।
Good news
Good