১৭ Jun ২০২৫
হোম স্বাস্থ্য সারাদেশ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি ও বাণিজ্য খেলাধুলা বিনোদন আন্তর্জাতিক ধর্ম ও জীবন লাইফ স্টাইল শিক্ষা প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান পরিবেশ চাকরি বা ক্যারিয়ার মতামত আইন-আদালত কৃষি ও প্রযুক্তি বিশেষ সংবাদ অপরাধ সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিশ্বকাপ ফুটবল
সারাদেশ

ছাতকে সুরমা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে মসজিদ স্কুল ও কবরস্থান

১৩ জানুয়ারী, ২০২৫

সাকির আমিন,
সুনামগঞ্জ জেলা (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি

ছবি: হুমকির মুখে সড়ক ও সেতু

সুনামগঞ্জের ছাতক সদর ইউনিয়নের আন্ধারী গাঁও,মল্লিক পুর,কেশব পুর ও বাউশা ডহর (গভীর) নামক স্থানে সুরমা নদীর ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে মসজিদ, স্কুল, কবরস্থান, বাজার, সরকারি সড়ক, মাজার, বৈদ্যুতিক খুঁটি,সেতু ও ফসলি জমি।

কেশব পুর গ্রামের ১ টি বাদে প্রায় ৭ থেকে ৮ শ টি পরিবার নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ায় চিত্র বদলে গেছে গ্রামের।সোমবার সরেজমিন দেখা যায়। সুরমা নদীর পাড়ে বাউশা বড় মসজিদের দেয়ালে ও ছাদে ফাটল দেখা দিয়েছে। মুসল্লী দের সাথে আলাপ করে জানা যায় মসজিদটি ঝুঁকি পূর্ণ হওয়ায় ১ বছর আগেই এখানে নামাজ পড়া বাদ দিয়ে গ্রামের অন্যত্র আরেকটি মসজিদ নির্মান করে নামাজ আদায় করছেন মুসল্লীরা।নদীর পাড়ে অটো রাইস মিল ও শতাধিক পাথর ভাঙ্গার মেশিন ঝুঁকিতে থাকায় অনেক ব্যবসায়ীরা ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছেন। ফলে বেকার হয়ে পড়েছে অনেক শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা নদী ভাঙ্গন স্থানে কিছু জিও ব্যগ ফেলে নদী রক্ষা করতে চাইলেও তা অপ্রতুল।শুষ্ক মৌসুমে নদীর পানি কমে যাওয়ায় ভাঙ্গন যেন আরোও ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। বাউশা গ্রামের কাছে ছাতক - সুনামগঞ্জ সড়ক ও বাউশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এখন হুমকির মুখে রয়েছে। যে কোন মুহূর্তে নদী ভাঙ্গনের ফলে জেলা সদরের সাথে উপজেলা সদরের যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। গ্রামের মূরব্বি সাবেক ইউপি সদস্য নূরুল হক জানান ৫০ বছর আগে একসাথে ৮০-৯০ টি পরিবার নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার সময় নাম না জানা ১ জন মহিলা মারাজান।দৃশ্যটি ছিল অত্যান্ত ভয়াবহ। ১৯৯৭ সালের ভূমি জরিপে দেখা গেছে ৪১ একর ভূমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আতিকুর রহমান শাওন জানান আমি একটি কারখানা স্থাপনের জন্য জমি কিনেছিলাম কিছু দিনের ভিতরে আমার প্রায় ৬০ শতক জমি নদী গর্ভে তলিয়ে গেছে ।তাই সরকারি ভাবে নদী ভাঙ্গন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া অত্যান্ত জরুরি। ছাতক পাথর ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি শামছু মিয়া জানান নদী ভাঙ্গনের ফলে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীগণ দেউলিয়া হয়ে ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করতে হিমসিম খাচ্ছেন। ৮ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আলী হোসেন জানান নদী ভাঙ্গনের বিষয়ে আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডে দরখাস্ত করেছি। তারা কার্যকর কোন পদক্ষেপ নেয়নি। 

সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম জানান আমরা বারবার উদ্যোগ নিলেও সরকার কোন ব্যবস্থা নেয়নি স্থানীয় এমপির লোকজন ৩ হাজার বস্তা জিও ব্যাগের বরাদ্দ এনে ৩ শ বস্তা ফেলে লুটেপুটে খেয়েছে। আমরা নদী ভাঙ্গন রোধে জোরালো ভূমিকা নেয়ার জুর দাবি জানাই সরকারের কাছে।  সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এমদাদুল হক  জানান ছাতকে কয়েকটি স্থানে নদী ভাঙ্গন রোধে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বাউশা এলাকায় লোক পাঠিয়ে খবর নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Related Article
comment
মোঃ মনির হোসেন বকাউল
29-Sep-23 | 10:09

Good news

মোঃ মনির হোসেন বকাউল
10-Dec-23 | 04:12

Good