০১ মে, ২০২৪
ছবি: ছাতকে রাস্তা নির্মান প্রকল্পের কাজ করে টাকা না-পেয়ে বিপাকে ইউপি সদস্য।
সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার নোয়ারাই ইউনিয়নের নোয়ারারাই-বাংলাবাজার সড়ক দিয়ে প্রতিদিন দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়ন ও নরসিং পুর ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ ও স্কুল কলেজ মাদ্রাসার ছাত্র -ছাত্রীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে থাকেন।
এ সড়কটি ভেঙে চুড়ে স্থানে স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়ে জনচলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।এ সড়ক টি ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড এলাকায় রাস্তাটি ভেঙে বেহাল দশা হয়ে যাওয়ায়।
উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রকৌশলীর অফিস হতে ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে গত ২০২৩ সালের ২৮ আগষ্ট একটি প্রকল্প গ্রহন করা হয়। প্রকল্পটির নাম আর সি সি ওয়ার্ক অফ ছাতক - বালিউরা জিওএম রোড নোয়ারাই। ৫১ ফুট আরসিসি ডালাই সড়ক নির্মানের ব্যয় ধরা হয় ১ লাখ ৬১ হাজার ৫শ ৪২ টাকা।
এ প্রকল্পের কাজ দেওয়াহয় নোয়ারাই ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সাজ্জাদুর রহমানকে।
প্রকল্পটি গ্রহন করে উপজেলা নির্বাহী অফিসের অফিস সহকারী অরুণ অধিকারী ও উপজেলা প্রকৌশলী অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী এম এ জাসির বলেন আপনি প্রকল্পের কাজ শুরু করেন আমরা আগামী মাসে আপনার বিল পরিশোধ করে দিব।তাদের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ২০২৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর প্রকল্প এলাকায় নির্মান সামগ্রী রড,সিমেন্ট, বালি,পাথর ও পলিথিন এনে রাখেন।
পরদিন ৭ সেপ্টেম্বর প্রকল্পের কাজ শুরু করবেন। এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসের অফিস সহকারী অরুণ অধিকারী ফোন করে বলেন ২ দিন পরে ডালাই ছাড়েন।
পরবর্তীতে আর প্রকল্পটির নির্মান কাজ না হওয়ায় প্রকল্প এলাকায় প্রায় ১লাখ ৬ হাজার টাকার নির্মান সামগ্রী ফেলে রাখায় স্থানীয় লোকজন মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়।এতে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হন ইউপি সদস্য সাজ্জাদুর রহমান। প্রকল্প কাজের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে অফিসার দের দ্বারেদ্বারে ঘুরছেন ইউপি সদস্য সাজ্জাদুর রহমান।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসের অফিস সহকারী অরুণ অধিকারী বিষয়টি অস্বীকার করে জানান এমন কোন প্রকল্প দেয়া হয়েছে বলে আমার জানানাই।প্রকল্প দেয়ার এখতিয়ার ও আমার নাই।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মুস্তাফা মুন্না জানান আমার জানামতে মৌখিক কোন প্রকল্পের কাজ গ্রহনযোগ্য নয়। আর মেম্বার ও আমার কাছে কোন অভিযোগ করেন নাই।
Good news
Good