২৭ Jul, ২০২৫
ছবি: ছাতকে লাফার্জ হোলসিম সিমেন্টের বিরুদ্ধে পরিবেশ ধ্বংসের অভিযোগ।
সুনামগঞ্জের ছাতক পৌর শহরের টেঙ্গারগাঁও মহল্লায় সুরমা নদীর পাড়ে অবস্থিত ফ্রান্সভিত্তিক মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি লাফার্জ হোলসিম সিমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের বিরুদ্ধে পরিবেশ ধ্বংসের অভিযোগ উঠেছে।
প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে কোম্পানিটি সিমেন্ট উৎপাদনের নামে স্থানীয় কৃষকদের ফসলি জমি খুঁড়ে কারখানায় এনে কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে কয়েক হাজার কৃষক বেকার হয়ে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
এদিকে স্থানীয় যুব সংগঠন নাগরিক পরিবেশ ও যুব সমাজ কল্যাণ সংস্থার পক্ষ থেকে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর দেওয়া একটি লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কারখানার বায়ু দূষণের ফলে স্থানীয় বাসিন্দারা মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকির মুখে পড়েছেন।
শ্বাসকষ্ট, অ্যালার্জি, চর্মরোগসহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন শিশু, কিশোর, নারী ও বৃদ্ধরা। ইতিমধ্যে বায়ু দূষণের কারণে দুইজন ব্যক্তি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
সম্প্রতি কারখানার ভেতরে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ (সিসিআর) এলাকায় একটি কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য দেশের বিভিন্ন মিল-কারখানার পরিত্যক্ত বর্জ্য এবং পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনের আবর্জনা স্তূপ আকারে কারখানার ভেতরে মজুত রাখা হচ্ছে। ফলে এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে, যা স্থানীয়দের বাসাবাড়িতে অবস্থান ও পথচারীদের চলাচল কঠিন করে তুলেছে।
নাগরিক পরিবেশ ও যুব সমাজ কল্যাণ সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আইনুল আহমদ জানান, “কারখানার ভেতরে যখন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মেশিন চালু করা হয়, তখন আশপাশের পরিবেশ এতটাই দূষিত হয়ে পড়ে যে, দুর্গন্ধে মানুষ বসবাস করতে পারে না। বারবার কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।”
ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম বলেন, “লাফার্জ হোলসিমের বিরুদ্ধে স্থানীয়দের বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। আমরা কিছু নির্দেশনা দিয়েছিলাম। তারা জানিয়েছে, পর্যায়ক্রমে সমাধান করবে। আমি স্পষ্ট করে দিয়েছি—পরিবেশের ক্ষতি হলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।”
লাফার্জ হোলসিম সিমেন্টের পরিবেশ বিষয়ক কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম জানান, “লিখিত অভিযোগের বিষয়টি এখনো আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়নি। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
Good news
Good