২৮ Jul, ২০২৫
ছবি: ছাতকে ফসলি জমি দখল করে বসত ঘর নির্মান কৃষক আব্দুল করিম এখন দিশেহারা।
ছাতকে ফসলি জমি দখল করে বসতঘর নির্মাণ, দিশেহারা কৃষক আব্দুল করিম।
সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার নোয়ারাই ইউনিয়নের গোদাবাড়ি গ্রামের আঞ্জব আলীর ছেলে অসহায় কৃষক আব্দুল করিমের ফসলি জমি জবরদখল করে জোরপূর্বক টিনের ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে।
ছাতক সেনাবাহিনী ক্যাম্পের অধিনায়ক বরাবর দেওয়া একটি লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, একই গ্রামের মৃত বলা মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ আলী, কিছুদিন আগে গভীর রাতে তার ভাই ইউনুস আলী ও আমির আলীকে সঙ্গে নিয়ে, বোন হাসি বেগমের নির্দেশে চানপুর মৌজার খাস খতিয়ানভুক্ত ১৯৫৬ নম্বর দাগের ফসলি জমি (হালি চারা) ও টিলার জমিতে বাঁশ ও টিন দিয়ে তড়িঘড়ি করে একটি বসতঘর নির্মাণ করে জমিটি দখল করে নেন।
ফলে বর্তমান মৌসুমে হালি চারা রোপণ করতে না পেরে কৃষক আব্দুল করিম দিশেহারা হয়ে প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।
সম্প্রতি ছাতক সেনা ক্যাম্পে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে হাসি বেগম বলেন, “আব্দুল করিমের ছেলে আমার কাছ থেকে টাকা নিয়েছে, তাই আমি জমি দখলে নিয়েছি।”
এ সময় উপস্থিত মুরব্বিরা বলেন, “ছেলের কাছে টাকা পেলে পিতার জমি দখলে নেওয়ার কোনো বৈধতা নেই।”
পরে সেনা ক্যাম্প থেকে বিষয়টি সুষ্ঠু সমাধানের জন্য ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো হয়।
আব্দুল করিম বলেন, “আমি দীর্ঘদিন ধরে সরকারের কাছ থেকে বন্দোবস্ত নিয়ে নিয়মিত খাজনা পরিশোধ করে এই জমি ভোগদখল করে আসছি। এখন ফসল ফলাতে না পারলে পরিবার-পরিজন নিয়ে অনাহারে অর্ধাহারে মরতে হবে।”
অভিযুক্ত মোহাম্মদ আলী বলেন, “আমরা জমি দখল করিনি, টাকার বিনিময়ে নিয়েছি।”
নোয়ারাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পীর আব্দুল খালিক রাজা বলেন, “অসহায় কৃষকের জমি রাতের আঁধারে দখল করে, সেখানে গাছ লাগিয়ে ঘরও তৈরি করেছে। আমি বিষয়টি কঠোরভাবে দেখব।”
Good news
Good