৩০ অক্টোবর, ২০২২
ছবি: প্রতীকী।
বরগুনার পাথরঘাটায় প্রতিপক্ষের হামলায় এক ব্যবসায়ীকে হত্যার অভিযোগ ওঠেছে।
নিহত মতিয়ার রহমান (৫৪) পাথরঘাটা উপজেলার রায়হানপুর ইউনিয়নের বেতমোর গ্রামের মৃত কেরামাত আলী জামাদারের ছেলে ও স্থানীয় বাজারের প্রসাধনী পণ্যের ব্যবসায়ী। মতিয়ার হত্যাকান্ডের শিকার বলে অভিযোগ করেছেন পরিবারের লোকজন।
আজ রোববার ৩০ অক্টোবর সকালে মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ।
নিহতের স্ত্রী রহিমা খাতুন জানান, প্রতিবেশী মৃত সতীশ খড়াতির ছেলে পঙ্কজের সাথে তাঁর স্বামীর দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিরোধ ও মামলা চলে আসছে। মামলায় হেরে যাবার আশংঙ্কায় পঙ্কজ সম্প্রতি তাঁর মেয়েকে দিয়ে আমার দেবর জাকিরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ এনে একটি মামলা করে। পুলিশ জাকিরকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠায়। সে শনিবার সকালে বরগুনায় গিয়ে আইনজীবীদের সাথে জাকিরের জামিন সংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলে রোববার আদালতে জামিনের আবেদন করার সিদ্ধান্ত হয়। শনিবার রাতে পঙ্কজ খড়াতি, পালাশ, প্রশান্ত, সঞ্জিতা রানী, মিলন, সমাপ্তি, পপি, নূর ইসলাম সরদার, শাহজাহান চৌধুরী, সঞ্জয়সহ অজ্ঞাত ২-৩ জন আমাদের ঘরে ঢুকে আমাকে ওড়না দিয়ে হাত ও মুখ বেঁধে রেখে আমার স্বামীকে টেনে-হিচড়ে ঘরের বাহিরে নিয়ে যায়। আমার চিৎকারে এলাকার লোকজন ছুটে এসে আমাকে উদ্ধার করে ৯৯৯-এ ফোন করলে পুলিশ আসে। পরে বাড়ির উঠান থেকে আমার স্বামীকে অচেতন অবস্থায় এ্যাম্বুলেন্সে করে মঠবাড়িয়া সরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসলে ডাক্তার তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে আমি আমার স্বামীর অন্ডকোষ ভাংঙ্গা ও গলায় দাগ এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত দেখতে পাই। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও নিহতের স্ত্রী রহিমা খাতুন জানান।
মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ফেরদৌস ইসলাম জানান, হাসপাতালে আনার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহা. নূরুল ইসলাম বাদল বলেন, সুরতহাল রিপোর্টের পর লাশ উদ্ধার করে পিরোজপুর জেলা মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলেই মৃত্যুর আসল রহস্য জানা যাবে।
Good news
Good