০৫ Jul, ২০২৩
ছবি: বিয়ে বাড়ি
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কনকদিয়াইউনিয়নে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে খাবারের সঙ্গে কাঁচামরিচ ও সালাদ নাদেওয়াকে কেন্দ্র করেবর ও কনে পক্ষেরমধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় প্রায় ১৫ জন আহতহয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ জুলাই) বিকেলেউপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়নের কুম্ভখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানমো. শাহিন হাওলাদারএ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আহতরা হলেন- মো. জিসান (১০), মতি হাওলাদার (৭০), সালেহা বেগম (৭০), ফিরোজ হাওলাদার (১৮), মালেক হাওলাদার (৪০), মো. রফিক মিয়া, মো. মিজান, খালেক হাওলাদারও মো. হাচিব (৯)। বাকিদেরপরিচয় জানা যায়নি।
জানাগেছে, কনকদিয়া ইউনিয়নের কুম্ভখালী গ্রামের মো. নিজাম মিয়ার ছেলে মো. মেহেদী হাসানের সঙ্গে একই গ্রামের বকু ফকিরেরমেয়ের বিয়ে সম্পন্ন হয়। মঙ্গলবার বিকেলে ছেলে পক্ষ বরযাত্রী নিয়ে কনেরবাড়িতে অনুষ্ঠানে যায়। পরে খাবার টেবিলেমাছ, মাংস ও পোলাও দেওয়াহলেও মেন্যুতে কাঁচামরিচ ও সালাদ ছিলনা।
এ সময় ছেলেরপক্ষের লোকজন খাবার টেবিলে সালাদ ও কাঁচামরিচ চান।পরে বিষয়টি নিয়েদুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দু’পক্ষের লোকজনলাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষেজড়িয়ে পড়ে। এ সময় দুইপক্ষের প্রায় ১৫ জন আহতহন।
খবরপেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক দুই জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেলকলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।
এদিকেবগা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মো. সোহেল জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণে নেয়। আহতদের মধ্যে রফিক ও মিজান নামেরদুজনকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বলে জানতে পেরেছি।
বাউফলথানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিচুল হক জানান, খবরপেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনপর্যন্ত কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ করেনি।
কনকদিয়াইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহিন হাওলাদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে গণমাধ্যমকে বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।এ সময় অন্তত ১৫ জন আহতহয়েছেন।