০৪ জানুয়ারী, ২০২৩
ছবি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে বছরব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করছে ছাত্রলীগ।
১৯৪৮ সালের এই দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের বৃহৎ এ ছাত্রসংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। গৌরব, ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও সাফল্যের দীর্ঘ এই পথচলায় মহান মুক্তিযুদ্ধসহ দেশের সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে ছাত্রলীগ।
বিতর্কিতদের পদ দেয়াসহ নানা অভিযোগ ছাত্রলীগের গত কয়েকটি কমিটির শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে। এই বিতর্ক থেকে বের হয়ে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী চলতে চায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনটি।
৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে যেসব কর্মসূচি নেয়া হয়েছে, সে সব প্রসঙ্গ উল্লেখ নিউজবাংলাকে ওই প্রত্যয়ের কথা জানিয়েছেন সম্প্রতি দায়িত্ব নেয়া কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।
১৯৪৮ সালের এই দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের বৃহৎ এ ছাত্রসংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। গৌরব, ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও সাফল্যের দীর্ঘ এই পথচলায় মহান মুক্তিযুদ্ধসহ দেশের সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে ছাত্রলীগ।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে অতীতের গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্য হারাচ্ছে সংগঠনটি। গত এক দশকে বিভিন্ন সাংগঠনিক ইউনিটের কমিটি না করতে পারা, সম্মেলন ছাড়াই নেতৃত্ব নির্বাচন, কেন্দ্রীয় কমিটিতে বিতর্কিতদের পদায়নসহ নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়েছেন শীর্ষ নেতারা।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর গত কয়েক বছরে বর্তমান সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ এ পদে মোট এসেছেন দশজন। এদের কেউই তাদের দায়িত্ব পালনকালে দেশের ১১৯টি সাংগঠনিক ইউনিটের কমিটি করতে পারেননি।
সর্বশেষ দায়িত্ব থাকা ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য ১১৯টি সাংগঠনিক ইউনিটের মধ্যে ৭০টিতে কমিটি করতে পারেননি। চিঠির মাধ্যমে বর্ধিত কমিটিতে পদ দিয়ে তৈরি করেছেন বিতর্ক।
এছাড়াও প্রেস রিলিজের মাধ্যমে কমিটি করে উপেক্ষা করেছেন গঠনতান্ত্রিক বাধ্যবাধকতাও। এর আগের কমিটিতে কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদ পাওয়াদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে কমিটিতে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি, মাদকসেবী, বিএনপি-জামায়াত ও রাজাকার পরিবারের সন্তান, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত, সন্ত্রাস-চাঁদাবাজ, বিবাহিত, নিষ্ক্রিয় এবং অছাত্রদের রাখা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আন্দোলনে নামেন পদবঞ্চিতরা। যার ফলে বিতর্কিতদের পদ শূন্য করা হয়।
সার্বিক বিষয়ে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ইনান বলেন, ‘সংগঠন সংগঠনের গঠনতান্ত্রিক নিয়মে চলবে। গঠনতন্ত্র পরিপন্থি কাজ করা যাবে না। মুজিব আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য, শেখ হাসিনার চলার পথকে মসৃণ করার জন্য শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
‘আমাদের অনেক সাংগঠনিক ইউনিটের কমিটি নেই। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর পরে আমরা এসব কমিটি করার উদ্যোগ নেব। বিতর্ক থেকে বের হতে হবে।’