৩০ এপ্রিল ২০২৫
হোম স্বাস্থ্য সারাদেশ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি ও বাণিজ্য খেলাধুলা বিনোদন আন্তর্জাতিক ধর্ম ও জীবন লাইফ স্টাইল শিক্ষা প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান পরিবেশ চাকরি বা ক্যারিয়ার মতামত আইন-আদালত কৃষি ও প্রযুক্তি বিশেষ সংবাদ অপরাধ সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিশ্বকাপ ফুটবল
সারাদেশ / অপরাধ

বিদেশের নাম করে দালাল চক্র গিলে খাচ্ছে গ্রামাঞ্চলের কৃষকদের

১৫ অক্টোবর, ২০২৩

ছবি: প্রতিকি

ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার চরআলগী ইউনিয়নে দেশের বাইরে অর্থাৎ বিদেশে কর্মসংস্থানের ব্যপারে বিদেশগামীদের সুবিধা দেওয়ার জন্য আদম ব্যবসায়ী  নাম করে একটি দালাল চক্র গড়ে উঠেছে। 

 দিন দিন  এদের ফাঁদের কবলে পরে নিজের জমিজমা এবং বসত ভিটাও হারানো মত নিঃস্ব সাধারণ মানুষ। বিদেশ লোক নেওয়া থেকে শুরু করে নদী থেকে জুয়া,  মাদক চাদাবাজিসহ বেশ কয়েকটি কাজের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে চক্রটি।তবে তাদের মূল টার্গেট লোকজনকে বিদেশ নিয়ে বিপদে ফেলে প্রবাসী পরিবারে কাছ থেকে বাড়তি অর্থ আদায়।  

চরমছলন্দ পূর্ব পাড়া এলাকার মৃত জিন্নাত আলী সরদারের ছেলে আকরাম ওরফে আনন্দ  সরদার (৩৮) এবং মৃত লোকমান আলীর ছেলে মোঃ মানিক সরদার (৪৮) নামে দুজনের সক্রিয় জোটে গড়ে উঠা প্রতারক চক্রটি   গ্রামের সরলমনা ছেলেদের লোভনীয় অফার আর ভাল বেতনে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে বিদেশ পাঠিয়ে হাতিয়ে নেন লক্ষ লক্ষ টাকা। চরআলগী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। 


 তাইজ উদ্দিন সরদার (৫০) নামে একজন ভুক্তভোগী বলেন  আমার নিম্নমধ্যম আয়ের ৬ সদস্যের  পরিবারের ব্যয়ভার বহনে দিশেহারা হয়ে আমার  বড় ছেলে তারেক মিয়া (২১) কে সকল ফসলি জমি ও ভিটা বাড়ী বন্ধক এবং ব্যাংক থেকে লোন মিয়ে   ৫ লক্ষ টাকা খরচ করে স্থানীয় রিয়াজ উদ্দিন সরদার, মজলু সরদার, আতাহার আলী সরদার,মোস্তফা সরদার,  সোহরাব মিয়া কে স্বাক্ষী করে। আদম বেপারী (দালাল)  মানিক সরদার (৪৮) এবং আকরাম সরদার (৩৮) এর মাধ্যমে সৌদি আরব পাঠাই পরে সেখানে তাকে কাজ না দিয়ে বসিয়ে রাখে।

 বিষয়টি স্বাক্ষীদেরকে জানাই।  চাপে পরে প্রবাসী তারেক কে একটি কোম্পানিতে যোগদান করায়।  বেশ কয়েকদিন পর আকরাম এবং মানিককের নেতৃত্বে অজ্ঞাত কয়েকজন সদস্যকে নিয়ে  আমার  এসে আরো বিশ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা না দিলে তার ছেলেকে (তারেক) দেশে ফিরে আসবে বলে হুমকি দেয়।


এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, তাকের মত একি লোভনীয় অফারের ফাঁদে বিদেশে পাড়ি জমিয়ে  কয়েক বছরের ব্যবধানে এই দালাল চক্রের ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব হয়েছেন এলাকার বেশ কয়েকজন।
 

মৃত আলী সরদারের ছেলে রুবেল,  মৃত আব্দুল জব্বার সরদারের ছেলে নজরুল ইসলাম, মোস্তফার ছেলে শরিফ মিয়া সহ বেশ কয়েকজন। তবে নজরুল এবং রুবেল অন্যত্র কর্মসংস্থান খুজে নিয়েছেন। তাদের বেশির ভাগই ফিরে আসতে হয়েছে।


এই দালাল চক্রের বিরুদ্ধে গ্রাম্য সালিসে মাধ্যমে জরিমানা করা হলেও এখনো ছাড়ছে না তাদের এই চক্র ভিত্তিক প্রতারনা। তারা খোজ রাখেন কে কখন নতুন নতুন পাসপোর্ট করে,  সুযোগ বুঝে নামে বেনামে বিভিন্ন কোম্পানিতে লোভনীয় প্রস্তাবনা দিতে থাকে।

গ্রাম্য শালিসের এক নেতা মজলু সরদার বলেন,  বেশ কিছুদিন আগে চরমছলন্দ সরদার বাড়ীর শাহাজুদ্দিনের ছেলেকে বিদেশ নেওয়ার টাকাপয়সা লেনদেন নিয়ে ঝগড়া সৃষ্টি হয়েছিল।  পরে শালিস বৈঠকে আকরাম এবং মানিককে দুই লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল। তাদের এই চক্র ভিত্তিক প্রতারনায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশাপাশি অন্যদেরও সতর্ক থাকার আহবান এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের।
 

Related Article