৩০ এপ্রিল ২০২৫
হোম স্বাস্থ্য সারাদেশ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি ও বাণিজ্য খেলাধুলা বিনোদন আন্তর্জাতিক ধর্ম ও জীবন লাইফ স্টাইল শিক্ষা প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান পরিবেশ চাকরি বা ক্যারিয়ার মতামত আইন-আদালত কৃষি ও প্রযুক্তি বিশেষ সংবাদ অপরাধ সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিশ্বকাপ ফুটবল
সারাদেশ / জাতীয় / আইন-আদালত

বগুড়ায় আওয়ামী লীগ নেতাকে হত্যার ঘটনায় দুজনের যাবজ্জীবন

২৮ নভেম্বর, ২০২৪

গোলাম আজম,
বগুড়া জেলা (বগুড়া ) প্রতিনিধি

ছবি: নিহত তারাজুল ইসলাম।

বগুড়ায় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তারাজুল ইসলামকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদেরকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। টাকা পরিশোধ না করলে তাদের আরো তিন মাস কারাভোগ করতে হবে। 

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে বগুড়ার জ্যৈষ্ঠ দায়রা জজ শাহজাহান কবির এই রায় দেন।

দণ্ডিতরা হলেন- গাবতলী উপজেলার আটবাড়িয়া গ্রামের তারাজুলের গাড়িচালক হেলাল উদ্দিন এবং মো. মানিক। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন বগুড়া কোর্ট ইন্সপেক্টর মোসাদ্দেক হোসেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, বগুড়া শহরের রহমান নগর এলাকায় সপরিবারে বসবাস করতেন বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য তারাজুল ইসলাম।

রাজনীতির পাশাপাশি ব্যবসা করতেন তিনি। ২০১৬ সালে সদ্যসমাপ্ত ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন নিয়ে তিনি গাবতলীর সোনারায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। 

স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে নিজ গ্রামের বাড়ি উপজেলার আটবাড়িয়া গ্রামে গেলে ৮ জুলাই রাতে শয়নকক্ষের জানালা দিয়ে সন্ত্রাসীরা তাকে গুলি করে। মাথায় গুলিবিদ্ধ তারাজুল ইসলামকে তাৎক্ষণিক প্রথমে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে রাজধানী ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়।

সেখান থেকে তাকে আবার বগুড়ার একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। পরে সেখানে লাইফ সাপোর্টে থাকার পর তার মৃত্যু হয়। 

এ ঘটনায় তারাজুলের স্ত্রী লায়লা আরজুমান্দ বানু ১২ জুলাই গাবতলী মডেল থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন। পরে গাড়িচালক বেলালকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ এবং হত্যার ঘটনায় তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে সকল সাক্ষ্য প্রমাণ হাজিরসহ অন্য কার্যক্রম শেষ হওয়ায় আদালত গাড়িচালক হেলালসহ দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।

কোর্ট ইন্সপেক্টর মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

Related Article