২৬ নভেম্বর, ২০২৪
ছবি: প্রতিকি।
বগুড়া টিএমএসএস টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্র সৌরভ হোসেন হত্যা মামলার প্রধান দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
র্যাব-১২ বগুড়া কোম্পানির সদস্যরা সোমবার দুপুরে তাদের রাজশাহীর মতিহার এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। পরে তাদের আদালতের মাধ্যমে বগুড়া জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র্যাবের কোম্পানি কমান্ডার নৌবাহিনীর লে. কমান্ডার এম আবুল হাশেম সবুজ প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতার আসামিরা হলেন, বগুড়া সদর উপজেলার ঠেঙ্গামারা গ্রামের আলমগীর তালুকদারের দুই ছেলে নাজিম তালুকদার (২০) ও নাজমুল তালুকদার (৩২)।
র্যাব ও এজাহার সূত্র জানায়, নিহত সৌরভ হাসান বগুড়া সদরের ঠেঙ্গামারা তালুকদারপাড়ার আবদুল মোমিনের ছেলে। তিনি টিএমএসএস টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
গত ৩ নভেম্বর রাত ১০টার দিকে ঠেঙ্গামারা এলাকায় একটি দোকানে একই প্রতিষ্ঠানের সহপাঠী চাচাতো ভাইয়ের সঙ্গে বসে চা পান করছিলেন। এ সময় তার কয়েকজন বন্ধু সেখানে আসেন। তারা সৌরভকে ডেকে নিয়ে যায়।
আধা ঘণ্টা পর বন্ধুদের একজন ফোনে স্বজনদের জানান, সৌরভ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে। তাকে টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্বজনরা হাসপাতালে গিয়ে সৌরভের রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান। সেখানে সৌরভের বন্ধুদের কাউকে পাওয়া যায়নি।
এদিকে সৌরভের মাথার পেছনে ও শরীরের অন্যান্য স্থানে আঘাতের চিহ্ন ও বন্ধুদের পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় সন্দেহের সৃষ্টি হয়। স্বজনরা বলছেন, কোনো পূর্ববিরোধের জেরে বন্ধুরা তাকে ডেকে নিয়ে আঘাতে হত্যা করেছে। কারণ মহাসড়কের সম্ভাব্য স্থানে রক্ত দেখা গেলেও দুর্ঘটনার কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় নিহত সৌরভের বাবা সদর থানায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করে ১২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।
মামলা করার পর থেকে র্যাব-১২ কোম্পানির সদস্যরা গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করেন। গত সোমবার দুপুরে রাজশাহীর মতিহার এলাকা থেকে এজাহারনামীয় দুই আসামি নাজিম তালুকদার ও তার ভাই নাজমুল তালুকদারকে গ্রেফতার করেন।
র্যাব কমান্ডার জানান, গ্রেফতার দুই আসামিকে সদর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে। পরে তাদের আদালতের মাধ্যমে বগুড়া জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।