০৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
ছবি: বগুড়ায় কলেজ ছাত্র আশিক হত্যাকাণ্ডের গ্রেপ্তারকৃত তিনজন।
বগুড়ার শাজাহানপুরে চাঞ্চল্যকর কলেজ ছাত্র আশিক (১৭) হত্যাকান্ডের ঘটনায় ২৪ ঘন্টার মধ্যে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত দু'টি চাকু ও ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল সহ হত্যাকান্ডে অংশগ্রহণকারী তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত আরও একজন আসামী পলাতক রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলেন উপজেলার আমরুল ইউনিয়নের পরানবাড়ীয়া পূর্বপাড়ার শহিদুল ইসলামের ছেলে মোঃ কাউছার (২২), একই ইউপির ঝালোপাড়া গ্রামের আঃ খালেক এর ছেলে মোঃ মাহমুদুল (২০) এবং নগরহাট রামপুর গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে মোঃ সাহান (২০)।
মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২ টার দিকে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রেস রিলিজ করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সদর সার্কেল, মোঃ শরাফত ইসলাম।
এসময় তিনি জানান, নিহত শাহরিয়ার ইসলাম রিয়াজ(আশিক) আসামী কাউছারকে একটি কাজ করে দেয়ার বিনিময়ে মাত্র ৪০০ টাকা প্রদান করে। কিন্তু আসামী কাউছার কাজটি না করলে আসামীর কাছে উক্ত টাকা ফেরত চায়। কিন্তু আসামী কাউছার উক্ত টাকা আসামী মাহমুদুলের নিকট রাখে। আসামী মাহমুদুল উক্ত টাকা খরচ করে ফেলে। আসামী কাউছার টাকা দিতে তালবাহানা করে এবং ভিকটিম তার এক কথিত এলাকার বড় ভাইকে দিয়ে আসামী কাউছার ও সাহানকে টাকাটা ফেরত দেয়ার চাপ সৃষ্টি করলে আসামীরা অপমানিত বোধ করে। এছাড়াও হত্যাকান্ডের দুইদিন পূর্বে উক্ত টাকা চাওয়া কে কেন্দ্র করে নিহত আশিক ও আসামী কাউছারকে মারধর করার উপক্রম পরিবেশ তৈরী করে। এসব কারনে তারা রাগান্বিত হয়ে অন্যান্য আসামীদের সাথে পরামর্শ করে হত্যার পরিকল্পনা করে।
তিনি আরও জানান, চাঞ্চল্যকর কলেজ ছাত্র শাহরিয়ার ইসলাম রিয়াজ (আশিক) কে হত্যার ঘটনার সহিত জড়িত তদন্তে প্রাপ্ত ৪ জন আসামীর মধ্যে ৩ জন আসামীকে শাজাহানপুর থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামীদের গ্রেফতার করা হয়। আসামীরা প্রাথমিক ভাবে ধারালো চাকু দ্বারা শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। গলা ও পায়ের রগ কাটিয়া আশিককে হত্যার কথা স্বীকার করে।
প্রেস রিলিজে আরও জানান, হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।