৩০ অক্টোবর, ২০২২
ছবি: বেতন স্কেল বাস্তবায়নের দাবিতে গাইবান্ধার মানববন্ধনে উপস্থিত গ্রাম পুলিশ সদস্যদের একাংশ।
ইউনিয়ন পরিষদের স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গ্রাম পুলিশ সদস্যদের সরকারি কর্মচারীদের ন্যায় কমান্ডার/দফাদারদের ১৯ গ্রেড, গ্রাম পুলিশদের ২০ গ্রেডে জাতীয় বেতন স্কেল বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৩০ অক্টোবর রোববার গাইবান্ধার আসাদুজ্জামান মার্কেটের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। বাংলাদেশ গ্রাম পুলিশ বাহিনী কর্মচারী ইউনিয়ন এই মানববন্ধনের আয়োজন করে। মানববন্ধন শেষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সুশান্ত কুমার মাহাতোর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের জেলা সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক, সাধারন সম্পাদক হবিবর রহমান, সাঘাটা থানার পুলতান রবিদাস, ফুলছড়ি থানার মমতাজ উদ্দিন, সাদুল্যাপুর রবিউল ইসলাম, বোয়ালী ইউপির ছানাউর রহমান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, গ্রাম পুলিশ বাহিনী প্রজাতন্ত্রের স্বীকৃত কর্মচারী। গ্রামীণ আইনশৃঙ্খলা কাজে নিয়োজিত গ্রাম পুলিশ বাহিনী সরকারের আদেশ ও নির্দেশ অনুসারে প্রায় ৭০ প্রকারের কাজ ২৪ ঘন্টা দায়িত্ব পালন করে। কিন্তু শ্রম অনুযায়ী শ্রমের ন্যায্যা মূল্য হতে বঞ্চিত দেশের ৪৬ হাজার ৮৭০ জন গ্রাম পুলিশ সদস্য। গ্রাম পুলিশ বাহিনী বর্তমানে দফাদার ৭ হাজার ও মহল্লাদার ৬ হাজার ৫০০ টাকা বেতন পেয়ে আসছে। কিন্তু এই বেতনের ৫০% বহন করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় আর ৫০% বহন করে ইউনিয়ন পরিষদের নিজস্ব আয় থেকে। সরকারি অংশ ৫০% নিয়মিত পেলেও অধিকাংশ ইউনিয়ন পরিষদ ইউনিয়নের বাকি ৫০% বেতন পরিশোধ করতে ব্যর্থ। তারা বর্তমান দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতির এই বাজারে নামমাত্র বেতনে পরিবার-পরিজনকে নিয়ে সংসার পরিচালনা করতে অক্ষম হয়ে পড়েছে। তাই বক্তারা পুলিশ বাহিনীর সরকারি কর্মচারীদের ন্যায় কমান্ডার/দফাদারদের ১৯ গ্রেড, গ্রাম পুলিশদের ২০ গ্রেডে জাতীয় বেতন স্কেল বাস্তবায়নের দাবি জানান।
উল্লেখ্য, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ গ্রাম পুলিশ বাহিনীকে স্ব-উদ্যোগে চাকুরী জাতীকরণের আদেশ প্রদান করেন। যা ১৯৭৬ সালে স্মারক নং এস/১/১ ইউ-৫/৭৬/১৮/১(৬৬) তারিখ ১৭/০১/১৯৭৬ ইং সালের পরিপত্র আকারে স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে প্রতিটি জেলায় প্রেরণ করা হয়।
Good news
Good