০৪ জানুয়ারী, ২০২৩
মোঃ আল আমিন, 
ছবি: অভিযোগী
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নাজমুল হকের বিরুদ্ধে ঘুষ দাবির অভিযোগ পাওয়া গেছে। উৎকোচ না দেওয়ায় তারই অফিস সহকারী জালাল উদ্দিন আহমেদকে চাকরিচ্যুতির হুমকি দিয়েছেন শিক্ষা কর্মকর্তা।
মঙ্গলবার এ ব্যাপারে জালাল উদ্দিন বাউফলের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শিক্ষা কর্মকর্তা নাজমুল হক গত ২৮ ডিসেম্বর উত্তর মদনপুরা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা পরিদর্শন করেন। ওই পরিদর্শনের একটি প্রত্যয়নপত্র প্রস্তুত করে শিক্ষা কর্মকর্তা নাজমুল হকের স্বাক্ষর নেওয়ার জন্য যান তারই অফিস সহকারী জালাল উদ্দিন।
এ সময় জালাল উদ্দিনকে শিক্ষা কর্মকর্তা নাজমুল হক বলেন, মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ টাকা-পয়সা দিয়েছে? জবাবে জালাল উদ্দিন বলেন, স্যার মাদ্রাসাটি আমার গ্রামের, তাই আমি টাকা-পয়সা নিতে পারি না। আপনি দয়া করে প্রত্যয়নপত্রে স্বাক্ষর করে দিন। কিন্তু শিক্ষা কর্মকর্তা নাজমুল হক টাকা ছাড়া ওই প্রত্যয়নপত্র দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। বিষয়টি নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে অফিস সহকারী জালাল উদ্দিনকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন তিনি।
জালাল উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, শিক্ষা কর্মকর্তা নাজমুল হকের স্বেচ্ছাচারিতার কারণে আমি অফিসে কাজ করতে পারছি না। তার অনিয়ম দুর্নীতির প্রতিবাদ করায় আমাকে চাকরিচ্যুত করার হুমকি দিয়েছেন।
তবে ঘুস দাবির অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাজমুল হক বলেন, ওই মাদ্রাসা পরিদর্শন করে অনেক অসঙ্গতি পেয়েছি। তাই প্রত্যয়নপত্র দেওয়া সম্ভব নয়। প্রত্যয়নপত্রের জন্য জালাল উদ্দিন আমাকে বাধ্য করতে চাচ্ছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল আমিন বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
