৩০ এপ্রিল ২০২৫
হোম স্বাস্থ্য সারাদেশ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি ও বাণিজ্য খেলাধুলা বিনোদন আন্তর্জাতিক ধর্ম ও জীবন লাইফ স্টাইল শিক্ষা প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান পরিবেশ চাকরি বা ক্যারিয়ার মতামত আইন-আদালত কৃষি ও প্রযুক্তি বিশেষ সংবাদ অপরাধ সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিশ্বকাপ ফুটবল
অপরাধ

বাস্তভিঠা বাঁচাতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে দরিদ্র রেজাউল

১৫ Jul, ২০২৩

মোঃ শরিফুল ইসলাম (শরীফ),
ভোলাহাট উপজেলা (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি

ছবি: ভোলাহাটে অসহায় রেজাউল করিমের বর্তমান জরাজির্ন-ভগ্ননগ্ন একটি আবাস্থল ঘরের ছবি।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার ৩নং দলদলী বটতলা গ্রামের মৃত জোহাক আলীর ছেলে রেজাউল করিম দ্বারে দ্বারে ঘুরেও নিজ বাস্তভিঠা বাঁচাতে কুল কিনারা পাচ্ছেন না। তিনি অভিযোগ করে বলেন, মধুপুর মৌজার রেকর্ডীয় প্রজা সিদ্দিক ১৯৫৯ সালের ডিসেম্বরে আনরেজিষ্ট্রি দলিলে আমার পিতার নামে রেজিষ্ট্রি করা হয়। পরে আরএস ১০১৭ নং খতিয়নে সিদ্দিক নামে রেকর্ড প্রস্তুত হয়। আরএস খতিয়ানের ১০ নং মন্তব্য কলামে অনুমতি রেকর্ডমূলে এজাহাক ওরফে জোহাক আলী উল্লেখ রয়েছে। এ সূত্র ধরে জোহাক আলী জীবিত থাকা অবস্থায় সাত ছেলেকে বাড়ী-ঘর করে দেন এবং এখন পর্যন্ত সবাই শান্তিপূর্ণ ভাবে বসবাস করে আসছে।


কিন্তু একই গ্রামের মোঃ আবুল কালামের স্ত্রী মোসাঃ পিজিরা খাতুন, মোঃ শহিদুল ইসলাম, মোসাঃ রোজনী খাতুন দিং ভোলাহাট সহকারী জজ আদালতে নিজেদের জমি দাবী করে মামলা করেন। মামলা নং ৩১/২০১৮ অঃপ্রঃ মূলে মামলাটি মিথ্যা বলে বাতিলের রায় দেন বিজ্ঞ আদালত।


এরপরও মোসাঃ পিনজিরা খাতুন গোপনে ০.১০০০ একর জমির মধ্যে ০.০১৩৮ একর জমি ৬৯১/ওঢ-ও/১৯১২-১৩ নং মূলে নামজারি করেন। পরে পিনজিরা একই গ্রামের মোঃ আব্দুল হালিম ও মোসাঃ শামীমা খাতুনের কাছে বিক্রি করলে তাঁরাও ৩১৯০/ওঢ-ও /২০০২-২১ নং মূলে খারিজ করেন।


ঘটনাটি জানতে পেরে ভোলাহাট উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) বরাবর তাঁদের খারিজ বাতিলের আবেদন করে জোহাক আলীর ছেলে মোঃ রেজাউল করিম। আবেদনের পর দলদলী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী ভূমি কর্মকর্তাকে তদন্ত করতে নির্দেশ দেয়া হলে তিনি সরজমিন তদন্ত করে ২০২২ সালের জুনের ২২ তারিখ ২২৫ নং স্মারকে দাগের ষোল আনা ০.১০০০ একর সম্পত্তিতে ৩০-৪০ বছর পূর্ব হতে শান্তিপূর্ণ ভোগ দখল করছেন এবং নামজারি গ্রহিতাগণের কোন ভোগ দখল নেই উল্লেখ করেন।


অপর দিকে সার্ভেয়ার মোঃ আব্দুল মালেক তাঁর প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন জোহাক আলীর নামে বিনা রেজিষ্ট্রি দলিলমূলে নামজারি বাতিল আইনসিদ্ধ নয়। ফলে মোঃ আব্দুল করিমের করা মিসকেস নথিজাত করার সুপারিশ করা হয়। এ সুপারিশের উপর সহকারী কমিশনার তাঁর আবেদন নামঞ্জুর করে দিয়েছেন। নিজের পৈতৃক ভিঠায় দৈর্ঘ্যদিনের বাড়ি বাঁচাতে আবারও ছুটে যান চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার এডিসি(রাজস্ব) দপ্তরে। সেখানেও বাবার জমি ফিরে পেতে আবেদন করেন তিনি। দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কি বাবার ভিঠা বাঁচানো সম্ভব হবে এ চিন্তায় ভাঁজ পড়েছে কপালে।
 

Related Article