২১ এপ্রিল, ২০২৩
ছবি: কাউন্সিলর জেম
রোজা আছি, আমাকে তোরা মারিস না, ইফতারটা করতে দে তারপর মারিস ।’ মৃত্যুর আগে এভাবে জীবনের জন্য আকুতি জানান শিবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা খাইরুল আলম জেম । কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রত্যক্ষদর্শী জেম হত্যাকাণ্ডের ঘটনা এভাবেই বর্ণনা করছিলেন ।
বুধবার ১৯ এপ্রিল ২০২৩ শহরের উদয়ন মোড় এলাকায় প্রকাশ্য জনসম্মুখে জেমকে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা ।
গত ১০ দিনে এ নিয়ে প্রকাশ্যে কুপিয়ে এবং ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তিনজনকে হত্যা করা হয়েছে । হত্যা তালিকায় আরও ১০ জনের নাম শোনা যাচ্ছে অথচ পুলিশ নির্বিকার এমনটাই অভিযোগ করেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওদুদ ।
পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গত ১০ এপ্রিল বালু উত্তোলনের বিরোধকে কেন্দ্র করে সদর উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নের কালিনগর বাবলাবোনা গ্রামের খান মোহাম্মদ গুদোড়ের ছেলে মনিরুল ইসলাম নামে একজনকে প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা । সাইকেলে করে ফেরার পথে নিজ বাড়ি থেকে মাত্র ৪শ গজ দূরে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে হত্যা করা হয় ।
১৩ এপ্রিল শিবগঞ্জ উপজেলার নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আলম আলী (ঝাপড়া) বাইসাইকেল যোগে বাড়ি ফিরছিলেন । নবাব মোড় এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে প্রকাশ্যে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয় । সবশেষ ১৯ এপ্রিল হত্যাকাণ্ডের শিকার হন সাবেক যুবলীগ নেতা খায়রুল আলম জেম ।
পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গত ১০ এপ্রিল বালু উত্তোলনের বিরোধকে কেন্দ্র করে সদর উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নের কালিনগর বাবলাবোনা গ্রামের খান মোহাম্মদ গুদোড়ের ছেলে মনিরুল ইসলাম নামে একজনকে প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। সাইকেলে করে ফেরার পথে নিজ বাড়ি থেকে মাত্র ৪’শ গজ দূরে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে হত্যা করা হয়।
১৩ এপ্রিল শিবগঞ্জ উপজেলার নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আলম আলী ঝাপড়া বাইসাইকেল যোগে বাড়ি ফিরছিলেন। নবাব মোড় এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে প্রকাশ্যে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। সবশেষ ১৯ এপ্রিল হত্যাকাণ্ডের শিকার হন সাবেক যুবলীগ নেতা খায়রুল ইসলাম জেম।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পুলিশের মুখপাত্র এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম সাহিদ জানান, কতিপয় দুর্বৃত্ত অতর্কিত হামলা চালিয়ে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে। রাজনৈতিক কারণে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি। অপরাধীদের ধরতে আমাদের অভিযান চলছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১২ থেকে ১৫ জনকে নিয়ে এসেছি। এখনও এজাহার পাইনি, এজাহার পেলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রসঙ্গত, বুধবার সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে ইফতার কিনে বাড়ি ফেরার পথে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হন শিবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা খাইরুল আলম জেম। এ ঘটনায় থানায় এখন পর্যন্ত মামলা দায়ের না হলেও সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটকের দাবি করেছে পুলিশ।