০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
ছবি: দোকানদার সেলিম মিয়া ও তার মেয়ে
আমার ছোট্ট শিশুটা কয়েক সপ্তাহ জানাচ্ছে গরুর মাংস দিয়ে ভাত খাবে ধরেছে এমন বায়না।
কিন্তু সে জানেনা,
তার বাবার দোকানটা মাসখানেক ধরে খুলতে পারছে না!
আমার ছোট্ট শিশু জানে না,
তার বাবার মানিব্যাগে এখন ৫০ টাকার বেশি থাকে না!
আমার ছোট্ট শিশু জানে না,
বাবার বিকল্প আয় নেই,মাসিক কিস্তিই দিতে পারছে না
আমার ছোট্ট শিশু জানে না,
কদিন পর বাবা বলবে মাগো আর স্কুলে যেতে হবে না!
আমার ছোট্ট শিশু জানে না,
হয়তো বাবা বলবে কদিন নানার বাড়ি থেকে আসো সময় ভালো না!
আমার ছোট্ট শিশু জানে না,
৭১ আর ২৪ তার প্লেটে গরম ভাত জুটালেও হয়তো গরুর মাংস জুটাবে না!
আমার ছোট্ট শিশুটা নারায়ে তাকবীর, জিন্দাবাদ কিংবা জয় বাংলা এসবে অর্থ বুঝে না!
কবিতার প্রেক্ষাপট : হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার আদাঐর ইউপির মীরনগর গ্রামে রফিকুল ইসলামের পুত্র মুদির দোকানদার সেলিম মিয়া।দেড় যুগ ধরে চালিয়ে আসা মাধবপুর থানার সামনে তার দোকানটা একটি মহলের প্রতিহিংসায় মাসখানেক ধরে বন্ধ আছে।ফলে তার আয় -ইনকাম বন্ধ।সংসার যাচ্ছে খারাপ।প্রাইমারী স্কুলে পড়ুয়া তার মেয়েটির প্রেক্ষাপটে কবিতাটি লেখা।