৩০ এপ্রিল ২০২৫
হোম স্বাস্থ্য সারাদেশ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি ও বাণিজ্য খেলাধুলা বিনোদন আন্তর্জাতিক ধর্ম ও জীবন লাইফ স্টাইল শিক্ষা প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান পরিবেশ চাকরি বা ক্যারিয়ার মতামত আইন-আদালত কৃষি ও প্রযুক্তি বিশেষ সংবাদ অপরাধ সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিশ্বকাপ ফুটবল
জাতীয় / রাজনীতি

৩০ ডিসেম্বর ঘোড়ায় ডিম পাড়বে, বিএনপিকে কাদের

২৪ ডিসেম্বর, ২০২২

জুয়েল রানা,
স্টাফ রিপোর্টার

ছবি: রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শনিবার সকালে আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনে বক্তব্য দেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এখন বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে আমরা কিছুটা বিপদে। এই পরিস্থিতিতেও তিনি রাত জেগে সারা দিন কাজ করে সামাল দিয়ে যাচ্ছেন। আমাদের ট্রাবলশ্যুটার। নাম কী? শেখ হাসিনা। তিনি আছেন বলেই পদ্মা সেতু নিজস্ব অর্থায়নে হয়েছে। সারা দুনিয়ার কাছে আমাদের সামর্থ্য, সক্ষমতা তুলে ধরেছেন শেখ হাসিনা। সারা বিশ্ব অবাক। কী করে নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু করে।’

১০ ডিসেম্বর নিয়ে বিএনপি হাঁকডাক দিলেও তাদের আন্দোলন ব্যর্থ হয়েছে বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ওই কর্মসূচিকে তিনি অভিহিত করেছেন ‘অশ্বডিম্ব’ নামে। ৩০ ডিসেম্বর বিএনপির কর্মসূচিও ব্যর্থ হবে জানিয়ে তিনি বলেছেন, ‘৩০ তারিখেও যদি পাড়ে ঘোড়ায় ডিম পাড়বে।’

দুর্নীতি, লুটপাট, ভোট চুরির বিরুদ্ধে ‘খেলা হবে’ জানিয়ে আওয়ামী লীগ প্রস্তুত বলেও জানান তিনি। বলেছেন, দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা ধরে রাখতে হলে শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই।

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শনিবার সকালে দলের ২২তম জাতীয় সম্মেলনে সাংগঠনিক রিপোর্ট উপস্থাপন করতে এসে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এখন বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে আমরা কিছুটা বিপদে। এই পরিস্থিতিতেও তিনি রাত জেগে সারা দিন কাজ করে সামাল দিয়ে যাচ্ছেন। আমাদের ট্রাবলশ্যুটার। নাম কী? শেখ হাসিনা। তিনি আছেন বলেই পদ্মা সেতু নিজস্ব অর্থায়নে হয়েছে। সারা দুনিয়ার কাছে আমাদের সামর্থ্য, সক্ষমতা তুলে ধরেছেন শেখ হাসিনা। সারা বিশ্ব অবাক। কী করে নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু করে।’

বিএনপিকে ইঙ্গিত করে কাদের বলেন, ‘আর আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষরা, আমি শত্রুরা বলছি না। প্রতিপক্ষরা তারা হিংসায় জ্বলে। মনে বড় জ্বালা। বড়ই অন্তর জ্বালা। শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু করেই ফেললেন। ২৮ ডিসেম্বর মেট্রোরেল উদ্বোধন করবেন। ১০০ সেতু উদ্বোধন করলেন। ১০০ সড়ক উদ্বোধন করলেন। এই জ্বালা আর সইতে পারে না। এই জন্য জানে যে নির্বাচন করলে শেখ হাসিনার সঙ্গে পারবে না। সে জন্য সরকার হটাবে, ২০ বার অ্যাটেম্পট নিয়েছে শেখ হাসিনার জীবনের ওপর। তাকে ক্ষমতা থেকে হটাতে পারলে, তারা মনে করে তারা সব হারানোর ময়ূর সিংহাসন খুঁজে পাবে না। পাবে না। ১০ তারিখে পারেনি। অশ্বডিম্ব। ৩০ তারিখেও যদি পাড়ে ঘোড়ায় ডিম পাড়বে।’

আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা প্রস্তুত জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ প্রস্তুত। মোকাবিলা হবে আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে। মোকাবিলা হবে, খেলা হবে। হবে খেলা ভোট চুরির বিরুদ্ধে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে, ভোট জালিয়াতির বিরুদ্ধে, ভুয়া ভোটারের বিরুদ্ধে, লুটপাটের বিরুদ্ধে, হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে, অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে খেলা হবে। আবারও হবে। নির্বাচনে হবে, আন্দোলনে হবে।’

আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি জানতে চান, সবাই প্রস্তুত কি না। এ সময় আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর, ডেলিগেটরা হাত তুলে নিজেদের প্রস্তুতির কথা জানান।

কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে। বাংলাদেশের উন্নয়ন অর্জনকে বাঁচাতে হলে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে হবে, তার কোনো বিকল্প নেই।’

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা এবং ৩ নভেম্বর নিরাপদ হেফাজত কারাগারে জাতীয় চার নেতা হত্যাকাণ্ডের জন্য বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানকে দায়ী করেন ওবায়দুল কাদের। তাকে এসবের জন্য ‘মাস্টারমাইন্ড’ আখ্যাও দিয়েছেন তিনি।

কাদের বলেন, ‘২১ আগস্টের মাস্টারমাইন্ড জিয়াউর রহমানের সন্তান তারেক রহমান। তারেক রহমান হাওয়া ভবনের সেই যুবরাজ। মুচলেকা দিয়ে চলে গেছে, আর রাজনীতি করব না। এফবিআই এখানে এসে সাক্ষ্য দিয়ে গেছে, ৭ বছরের দণ্ড হয়েছে। সেই তারেক রহমান ২১ আগস্টের মাস্টারমাইন্ড। এসব ইতিহাস আমাদের ভুলে গেলে চলবে না।’

এর আগে আওয়ামী লীগের পরবর্তী নেতৃত্ব নির্বাচনে ২২তম সম্মেলনের উদ্বোধন করেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সকাল সাড়ে ১০টায় পায়রা উড়িয়ে দেশের সবচেয়ে প্রাচীনতম দলটির সম্মেলনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

এর আগে ১০টা ২৮ মিনিটের সময় সম্মেলনস্থলে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। কাউন্সিলর ও ডেলিগেটরা দাঁড়িয়ে সম্মান প্রদর্শন করেন দলের সভাপতিকে।

এ সময় জাতীয় সংগীতের মূর্ছনায় দেশের পতাকা উত্তোলন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। আর দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

দুপুরে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে শুরু হবে কাউন্সিল অধিবেশন। সেখানেই দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করা হবে।

নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইউসুফ হোসেন হুমায়ুনের নেতৃত্বে গঠন করা হয়েছে তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশন। এই কমিশন শীর্ষ নেতৃত্ব নির্বাচনের পর কাউন্সিলরদের মতামতের আলোকে হবে ৮১ সদস্যের কার্যনির্বাহী কমিটি।

এবারের জাতীয় সম্মেলনে সারা দেশ থেকে প্রায় ৭ হাজার কাউন্সিলর অংশ নিচ্ছেন। সম্মেলনকে ঘিরে প্রায় এক লাখ নেতা-কর্মী সম্মেলনস্থল ও আশপাশে সমবেত হবে বলে আশাবাদী ক্ষমতাসীন দলটি।

Related Article