১৩ মার্চ, ২০২৩
ছবি: নিহত শিশু
গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে মাত্র ১৫ টাকার ভর্তি ফি পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায়, জন্মদাতা পিতার সামনে জীবন দিতে হলো এক অবুঝ শিশুকে।
জানা যায়, গাইবান্ধা পুরাতন বাদিয়াখালী রোডে শিশু বাচ্চাটি রাস্তা পারাপারের সময় সিএনজির সাথে এক্সিডেন্ট করে গুরুতর আহত হয়। পরবর্তীতে বাচ্চাটিকে গুরুতর রক্তাক্ত অবস্থায় অটোরিক্সা যোগে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন শিশুটির পিতা।
বাচ্চাটিকে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নেওয়া হলে বাচ্চাটির মারাত্মক শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। বাচ্চার শ্বাসকষ্ট দেখে তার পিতা হাসপাতালে ছোটাছুটি করেন অক্সিজেন সরবরাহের জন্য। গাইবান্ধা সরকারি হাসপাতালের একজন কর্মচারীকে অক্সিজেন দিতে বললে, সেই কর্মচারী ১৫ টাকার ভর্তি ফি দাবি করে। ১৫ টাকা ফি দিতে না পারায় ওই কর্মচারী অক্সিজেন দেওয়া যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়।
পরবর্তীতে শিশুটির পিতা সেই কর্মচারীকে বলেন, আংকেল আমি তো খালি গায়ে আসছি শুধু একটা ট্রাউজার পরে। আমি তো সঙ্গে টাকা নিয়ে আসি নাই। আপনি অক্সিজেন দেন। আমার ভাই টাকা আনতেছে। কিন্তু হাজারো অনুরোধ করার পরেও সেই কর্মচারী কোন মতেই টাকা ছাড়া অক্সিজেন দিতে রাজি হয়নি।
শিশুটির পিতা এবং সেই কর্মচারীর মধ্যে ১৫ টাকার মূল্য পরিশোধে বাকবিতন্ডার একপর্যায়, নিষ্পাপ মাসুম শিশুটি অক্সিজেনের অভাবে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মানবতার কতটা অবনতি হলে এরকম তরতাজা একটি জীবন সামান্য কয়েকটা টাকার জন্য ছেড়ে দিতে হয়।
গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক এবং সিভিল সার্জনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। তদন্ত সাপেক্ষে দোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
Good news
Good