৩০ এপ্রিল ২০২৫
হোম স্বাস্থ্য সারাদেশ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি ও বাণিজ্য খেলাধুলা বিনোদন আন্তর্জাতিক ধর্ম ও জীবন লাইফ স্টাইল শিক্ষা প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান পরিবেশ চাকরি বা ক্যারিয়ার মতামত আইন-আদালত কৃষি ও প্রযুক্তি বিশেষ সংবাদ অপরাধ সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিশ্বকাপ ফুটবল
সারাদেশ

ওয়ার্ড বিএনপি নেতা দাবিদার ফ্যাসিবাদী দূসরের হুমকিতে আতংকিত গ্রামবাসী

২৭ নভেম্বর, ২০২৪

ছবি: সংগৃহীত

মাধবপুর উপজেলার আদাঐর ইউনিয়নের মিঠাপুকুর গ্রামের বিএনপির নেতা দাবিদার আঃ হাসিমের হুমকি ধামকীতে আতংকিত গ্রামের নিরীহ মানুষ গুলো।

হাসিম আদাঐর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির বেশ কয়েক বছর আগের একটি কমিটির সাধারণ সম্পাদক,সে বিএনপি দাবি করলেও  গত ৮/১০টি বছর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর সাথে ঘনিষ্টতা ছিল অনেক।

এমনকি সে মৌজপুর বাজারে সাবেক মন্ত্রী মাহবুব আলীর হাতে ফুল দিয়ে আওয়ামী লীগে যোগদান ও করেছিল, যার ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে, ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে সে তার নিজের কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের লোকজনের সাথে ১৪০০ ভোটের ও বেশি নৌকায় সিল মারছে যা অতীতে এই কেন্দ্রে নৌকায় ২০০/৩০০ বেশি ভোট পায়নি,আবার ২০২৪ এর নির্বাচনেও সরাসরি নৌকার জনসভা এবং পক্ষে কাজ করেছে।

এখন আওয়ামী লীগ পতনের পর সে ওয়ার্ড বিএনপির নেতা বলে গ্রামের নিরীহ মানুষকে হুমকি ধামকী দিচ্ছে।এমনকি মানুষকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি ও করছে।

ভোক্তভোগী মুক্তার মিয়া জানান,আমার চাচাত ভাইয়ের জায়গা আমি রাখছি টাকাও দিয়ে দিছি রেজিস্ট্রেরিও হয়ে গেছে এখন আমার চাচাত ভাই চাইতেছে জায়গাটা তাকে ফেরত দিয়ে দিতাম,আমি না করছি বলে জলিল হাসিমের কাছে বলছে।

হাসিম আমাকে  তার দোকানে ডেকে এনে বলে তুমি জায়গা ফেরত দাও না হয় তোমার লুঙ্গি পড়বার সময় দিতাম না,আমার অনেক লোক আছে আমি অর্ডার দিলে তুমি মারা যাইবা এমন ধরনের অনেক হুমকী ধামকী দিছে গ্রামের অনেক মানুষ ছিল এখানে,আমাকে হাত পা বেধে মারবে বলেও সে বলে,এই যদি হয় অবস্থা তাহলে আমাদের মতো লোক গ্রামে বসবাস করা অনেক কঠিন হয়ে যাবে।

গ্রামের বিশিষ্ট মাতাব্বর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জানান,গত রবিবারে তার চায়ের স্টলে আমরা কয়েকজন বসা মুক্তার তার চাচাত ভাইয়ের কাছ থেকে জায়গা ক্রয় করেছে আজ ৪/৫ বছর আগে,এখন হাসিম থাকে হুমকি দিয়ে বলছে জায়গা ফেরত দিতে না হয় তার লোকজন দিয়ে মুক্তারকে দেখার আছে।মুক্তার হুমকির পরের দিন মাধবপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছে শুনলাম।

ভুক্তভোগী সুজন খা বলেন,আমাকে কিছু দিন আগে ব্যারিষ্টার সুমনের নামে একটি মানববন্ধন হয়েছে এর সুত্র ধরে একটি অভিযোগ হয় আমাকে এই অভিযোগে আসামি করে এই হাসিম অথচ আমার দলীয় কোন পদ পদবী নেই কোন রাজনৈতিক দলে।

সে আজ বিএনপি দাবী করছে অথচ সে মাহবুব আলীর কাছে মৌজপুর এক জনসভায় ফুল দিয়ে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছে যার ছবি আছে, ২০১৮নির্বাচনে সে নিজে কেন্দ্রে থেকে নৌকায় ভোট কাস্টিং করিয়েছে, ২০২৪ এর নির্বাচনে মাহবুব আলীর নির্বাচনী জনসভায় প্রকাশ্যে ছিল,আমার কাছে ছবি এবং ভিডিও আছে।সে আজ বিএনপি দাবী করে শান্ত গ্রামটিতে অশান্তি ডেকে আনছে।

মারফত আলীর নামের এক যুবক জানান,কিছু দিন আগে হাসিমের দোকানে আমি গিয়েছিলাম তখন সে আমাকে বলছে তোদেরকে তো আমি বাঁচিয়ে রাখছি না হয় তোরা এখন জেলে থাকতে,তখন আমি বললাম আমার বাপ, আমরা তো সব সময় বিএনপিতে ভোট দিয়ে আসছি আমরা কেন জেলে যাব,এই কথা বলে চলে আসছি।

ওয়ার্ড বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ইদন শাহ বলেন,আমরা তো গত ১৫ টি বছর হাসিমকে দেখেছি আওয়ামী লীগের লোকদের সাথে কত ঘনিষ্ট চলাফেরা করতে আর আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ডে জড়িত অথচ আজ সে নিজেকে বিএনপির অনেক বড় নেতা দাবী করে, গ্রামের নিরীহ মানুষকে হুমকি ধামকী ছাড়া কথায় বলে না।এমনকি বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করছে।বিএনপির কিছু নেতারে ফোন দিয়ে হাসিম বুঝায় আমি অনেক বড় নেতা আমার পাওয়ার অনেক।

ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের কাছে বিষয়টি জানালে,উনি বলেন আমি বিষয়টি দেখব।

Related Article
comment
মোঃ মনির হোসেন বকাউল
29-Sep-23 | 10:09

Good news

মোঃ মনির হোসেন বকাউল
10-Dec-23 | 04:12

Good