১৩ মার্চ, ২০২৩
ছবি: ভোলাহাটের প্রাণকেন্দ্র সন্ন্যাসীতলা-মেডিকেল মোড়ের বিভিন্ন জায়গা ময়লা আর দূর্গন্ধযুক্ত একটি জায়গার ছবি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার একমাত্র প্রাণকেন্দ্রটিতে বিভিন্ন হোটেল ও রেস্তোরার ময়লাযুক্ত পানিতে সয়লাব, স্বাস্থ্যহানীতে পড়ার উপক্রম। উপজেলার বিভিন্ন পেশাজীবি ও সাধারণ পা-ফাটা মানুষগুলি দ্রুতগতিতে প্রশাসনের নজরদারী প্রয়োজন বলে আশাবাদী!
সরজমিনে দেখা গেছে, ভোলাহাট উপজেলার একমাত্র ব্যবসা-বাণিজ্য কেন্দ্র, কল-কারখানাসহ বিভিন্ন পেশাজীবি মানুষের উঠাবসা ও ব্যবসা-বাণিজ্যের একমাত্র কেন্দ্রস্থল। সন্ন্যাসীতলা নামে খ্যাত এই এলাকায় প্রতিদিন হাজার বলা ভুল হবে। যেখানে প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষের যাতায়াত এবং নিজের সংসারের যাবতীয় মালামাল এস্থান হতেই সরবরাহ করতে হয়। এ সন্ন্যাসীতলা নামকস্থানে রয়েছে দেশের বিভিন্নস্থানে যাতায়াতের জন্য চৌমূখী রাস্তা। আর সে রাস্তা দিয়ে চলাচল সর্বসাধারণের। এখান থেকে দক্ষিণে শিবগঞ্জ উপজেলা হয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ও বিভাগীয় শহর রাজশাহী যাতায়াতের পথ।
অপরদিকে পূর্বদিকে আরেকটি ব্যবসা-বাণিজ্য কেন্দ্র রহনপুর হয়ে গোমস্তাপুরসহ বিভিন্নস্থানে। পশ্চিমে ভোলাহাট উপজেলা পরিষদ হয়ে পুলিশ প্রশাসনের থানা কার্যালয় এবং সীমান্তবর্তী বিজিবি কোম্পানী চাঁনশিকারী ক্যাম্প। উত্তরে ভোলাহাট উপজেলার সর্ববৃহৎ গ্রাম বজরাটেক ও বিনামূল্যে চিকিৎসা-ওষূধসহ ব্যক্তি মালিকানায় প্রতিষ্ঠিত একমাত্র হাসপাতাল।
প্রত্যক্ষ আরো দেখা যায়, ভোলাহাট উপজেলাটি ছোট্ট হলেও শিক্ষা-দীক্ষায়, প্রসিদ্ধ বিভিন্ন জাতের আম-জাম, ধানসহ অন্যান্য সকল বিষয়ে পরিপূর্ণ হলেও পরিস্কার-পরিচ্ছন্নের ব্যাপারে উদাসীন রয়েছে এলাকাবাসী। এই স্থানটিতে রয়েছে, কলেজ, মাদ্রাসা, স্কুল এমনকি রয়েছে একটি ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল ও একটি ভোলাহাট প্রেসক্লাবসহ রয়েছে কারিগরি শিক্ষার জন্য কলেজ। এতো কিছু থাকা সত্বেও পরিস্কার-পরিছন্নের দিকদিয়ে পিছিয়ে রয়েছে সন্ন্যাসীতলা-মেডিকেল মোড়।
হাদিসের পরিভাষায় পরিস্কার-পরিছন্ন ঈমানের অঙ্গ। পরিস্কার পরিছন্ন থাকলে মন-প্রাণ থাকে উৎফুল্ল এবং প্রসন্ন। আর পরিস্কার-পরিছন্ন মনটাই পারে একনিষ্ঠভাবে মহান আল্লাহ তা’আলার ঈবাদাত করতে।
অভিযোগ উঠেছে, এ উপজেলার প্রশাসন বলে কিছুই নেই। কারণ, স্বাধীনতার প্রায় অর্ধশতাধিক বছর পাড় হয়ে গেছে এ সন্ন্যাসীতলার পরিস্কার-পরিচ্ছন্নের ব্যাপারে কোনো উন্নয়ন নেই বলে রাগান্বিতকণ্ঠে বললেন জনৈক ব্যবসায়ী। তিনি আরো বলেন, এই স্থানের বিভিন্ন জায়গায় হোটেল-রেস্তোরাগুলির ময়লাযুক্ত এবং দূর্গন্ধ পানি ফেলে রাখে হোটেল-রেস্তোরার মালিকগণ। এমনকি পড়ে রয়েছে যত্রদত্র ময়লা-আবর্জনা, দেখে মনে হচ্ছে এযেনো ময়লা-আবর্জনা ফেলার ভাগার।
এ অবস্থা চলতে থাকলে আমাদের জনসাধারণের জন্য দেখা দিতে পারে নানা অসুখ-বিসুখ। তাই এ অবস্থা নিরসনের জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের জোরদাবী অচিরেই ভোলাহাট উপজেলার প্রাণকেন্দ্রকে ময়লা, দূষিত, দূর্গন্ধযুক্ত পরিবেশ থেকে মুক্ত করার জন্য মিনতি জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ মোঃ মাহবুব হাসান এ প্রতিবেদককে বলেন, আমরা উপজেলা প্রশাসনকে লিখিতভাবে কাগজ দেয়া হয়েছে, তাৎক্ষণিকভাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার সরজমিনে প্রত্যক্ষ করেছেন এবং সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অভিহিত করা হয়েছে। যতো দ্রুত সম্ভব ব্যবস্থা হবে। আর আমার প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে যেটা করা দরকার, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছি বলে তিনি আশ্বাস প্রদাণ করেন।
Good news
Good