১৭ Jun ২০২৫
হোম স্বাস্থ্য সারাদেশ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি ও বাণিজ্য খেলাধুলা বিনোদন আন্তর্জাতিক ধর্ম ও জীবন লাইফ স্টাইল শিক্ষা প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান পরিবেশ চাকরি বা ক্যারিয়ার মতামত আইন-আদালত কৃষি ও প্রযুক্তি বিশেষ সংবাদ অপরাধ সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিশ্বকাপ ফুটবল
সারাদেশ

"ভাইরে! পুঁজি থাকলে ভিক্ষা করতাম না। মেয়েটা কে সাথে নিয়ে বাজারে একটা চায়ের দোকান দিতাম।কিছুটা কপাল আর কিছুটা কর্মের দোষে আজ রাস্তার ভিক্ষুক ।"

০৪ নভেম্বর, ২০২৩

মোঃ মনির হোসেন বকাউল,
মাধবপুর উপজেলা (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি

ছবি: ৫০বছরের বয়স্ক ভিক্ষুক বিধবা অলিমন নেছা

 



"ভাইরে! পুজি থাকলে ভিক্ষা করতাম না।মেয়েটাকে সাথে নিয়ে বাজারে একটা চায়ের দোকান দিতাম।কিছুটা কপাল কিছুটা কর্ম দোষে আজ রাস্তার ভিক্ষুক। "

এ কথাগুলো বলছিলেন হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার চৌমুনি ইউপির হরিণখোলা গ্রামের অলিমন নেছা নামে ৫০ বছর বয়স্ক বিধবা এক ভিক্ষুক।


২ যুগ আগে মানুষের বাড়ি বাড়ি ঘুরে  বিভিন্ন ধরনের ফল ফলাদি যেমন: আম,জাম,কাঁঠাল ও জলপাই ইত্যাদি পাইকারি ধরে কিনে ঘুরে ঘুরে বিক্রি করতেন।এভাবেই চলতো তার সংসার। অনেকের প্রিয় মুখ ছিলেন ওই মহিলাটি।কিন্তু এর পরেই ঘটে বিপত্তি।কোন এক বাড়ির গৃহস্থের উচু জাম গাছ থেকে ফল পাড়তে গিয়ে পড়ে গিয়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার স্বীকার হয়ে।হাত পা ভেঙ্গে যায়।বরণ করেন পুঙ্গত্ব । কয়েক বছর বিছানায় শুয়ে কাটাতে হয়।

এক মেয়ে ও ৩ জন এতিম নাতি-নাতনি নিয়ে ওই  উদ্যোক্তার জীবন বাতি যেন নিভেই গেল। বাধ্য হয়ে ভিক্ষাবৃত্তি বেছে নিতে হয় তার।
বর্তমানে তার একটি অসুস্থ বিধবা কন্যা ও স্কুল পড়ুয়া ৩ জন নাতি নাতি রয়েছে যাদের ভরন-পোষণের দায়-দায়িত্ব তার তার উপরেই।


সম্প্রতি তার এক নাতনির চিকিৎসা জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে তানিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে ডাক্তার বলেছেন অপারেশন করাতে হবে।কিন্তু অপারেশন করানোর আর্থিক সক্ষমতা তার নেই। আর্থিক সাহায্যের জন্য স্থানীয় চেয়ারম্যানের সুপারিশ নিয়ে স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদনও করেছেন। এই আবেদনের কপি দেখিয়ে বর্তমানে তাকে বাজার, রেলস্টেশনে ভিক্ষা করতে দেখা যায়।

তিনি জানান,বাড়ি থেকে মাধবপুর উপজেলা শহরে এসে ভিক্ষা করতে গাড়ি ভাড়া বাবদি ১০০ টাকার বেশি লেগে যায়। তার প্রতিদিন তার ৪oo থেকে ৫০০ টাকা আয় হয়। বাজারে জিনিসপত্রের দামের উর্ধ্বগতির  কারণে  তার মেয়ে নাতি নাতনী সহ চলা খুব কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। বিধবা মাধ্যমে মাসে ৫০০ টাকা পেলেও খেয়ে না খেয়ে কোনরকম দিন কাটাতে হয় তার।

কিছুদিন আগে মাধবপুর সমাজসেবা অফিস থেকে ভিক্ষুক পুন:ভাসনের জন্য নাম নিয়ে থাকলেও এর কোন কার্যকারিতা নেই বলে জানান ওই ভিক্ষুক মহিলা।


হবিগঞ্জ জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সিরাজুম মনির আফতাবী বলেন,ওই নারীর জীবনের ঘটনাগুলা অত্যন্ত মর্মস্পর্শী।সে সমাজসেবার বিধবা ভাতার আওতাভুক্ত।আমরা অতি দ্রুত উপজেলার সমাজসেবা কার্যালয়ের মাধ্যমে ভিক্ষুক পুনর্ভাসন প্রকল্পের মাধ্যমে তাকে সহযোগিতা করবো।যে যেন অতি দ্রুত আমাদের সাথে যোগাযোগ করে।

Related Article
comment
মোঃ মনির হোসেন বকাউল
29-Sep-23 | 10:09

Good news

মোঃ মনির হোসেন বকাউল
10-Dec-23 | 04:12

Good