২৬ নভেম্বর, ২০২২
ছবি: বল দখলের লড়াইয়ে ইংল্যান্ড যুক্তরাষ্ট্র
বিশ্বকাপে দারুণ শুরু করেছিলো যুক্তরাষ্ট্র ও ইংল্যান্ড , কিন্তু তার প্রতিফলন খুব বেশি দেখা যায়নি আল বাইত স্টেডিয়ামে যুক্তরাষ্ট্র-ইংল্যান্ডের ম্যাচে। বেশকবার ইংল্যান্ডের গোলবার কাঁপিয়েও কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায়নি ক্রিশ্চিয়ান পুলিসিচের যুক্তরাষ্ট্র। অপরদিকে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ইরানকে ৬-২ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপে উড়ন্ত সূচনা করা গ্যারেথ সাউথগেটের ইংল্যান্ডও তাই ম্যাচে ইংল্যান্ডের কাছে ভালো কিছু করার প্রত্যাশায় ছিলো ফুটবল দর্শকরা। কিন্তু প্রত্যাশার মতো করেপা আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে পারেনি ইংল্যান্ড । তারকায় ঠাঁসা ইংল্যান্ডকে বেশ অনেকটাই যেনো কোণঠাসা করে রেখেছিলেন ডেস্ট-উইয়াহরা।
তবে প্রথমার্ধের খেলায় আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের কোনো কমতি ছিল না। প্রথমার্ধে স্টার্লিং-কেইনদের চেয়ে বেশ অনেকটা এগিয়েই ছিল গ্রেগ বারহাল্টারের যুক্তরাষ্ট্র। ইনজুরি টাইমে ম্যাসন মাউন্ট একবার পরীক্ষা নিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের গোলরক্ষক ম্যাট টার্নারের। চেলসির আক্রমণাত্মক এ মিডফিল্ডারের জোরালো শট ঠেকিয়ে সে দফা যুক্তরাষ্ট্রকে বিপদমুক্ত করেন টার্নার।
তাছাড়া, প্রথমার্ধে ডানপ্রান্ত দিয়ে সার্জিনো ডেস্টের আক্রমণে ওঠার দৃশ্যই ছিল সবচেয়ে নিয়মিত ঘটনা। এরকম এক আক্রমণ থেকেই বাম পায়ের জোরালো শটে জর্ডান পিকফোর্ডকে পরাস্তও করেন পুলিসিচ। কিন্তু সে শট গোলবারে প্রতিহত হলে আর লিড নেয়া হয়নি যুক্তরাষ্ট্রের।
প্রথমার্ধ যেখানে শেষ করেছিলো যুক্তরাষ্ট্র সেখান থেকেই শুরু করে দ্বিতীয়ার্ধের খেলা। চলতে থাকে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ। এ সময় নিয়মিত বিরতিতে পরীক্ষা দিয়েছে দুদলের কিপাররা। এ সময় একের পর এক আক্রমণের চেষ্টা চালিয়েছেন হ্যারি কেন-জ্যাক গ্রিলিশরা।
একের পর আক্রমণ ব্যর্থ হলেও থেমে ছিল না কোন দলের গোলের চেষ্টা। একের পর এক আক্রমণ -পাল্টা আক্রমণ ভাঙতে পারেনি কোন দলের রক্ষণ।তাই ম্যাচের ৮০ মিনিটের পর মরিয়া হয়ে চেষ্টা চালাতে থাকে ইংলিশরা। নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষে অতিরিক্ত সময়ের খেলায়ও কোনো পরিবর্তন আসেনি। ফলে, গোলশূন্য ড্র নিয়েই আল বাইত ত্যাগ করতে হয়েছে দুদলকে।